শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরি অভিযোগে মালয়েশিয়ায় এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের সঙ্গে এক যৌথ তদন্তের পর গত সোমবার দেশটির নেগেরি সেম্বিলান রাজ্যের সেরেম্বান থেকে ২৪ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে দেশটির পুলিশ। গ্রেপ্তারের ৪ দিন পর ২২ সেপ্টেম্বর তাকে দেশটির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়।
আদালতে ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ভিডিও ও ফটোর মাধ্যমে শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরির অভিযোগ এবং ৮টি মোবাইল ফোন, ইউএসবি ড্রাইভ ও হার্ড ড্রাইভে শিশু পর্নোগ্রাফির ৭৪০টি ছবি রাখাসহ মোট ১২টি অভিযোগ আনা হয়। বিচারকের সামনে অভিযোগগুলো পড়ে শোনানোর পর অভিযোগ অস্বীকারের পাশাপাশি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়াশোনা করা ওই শিক্ষার্থী।
মালয়েশিয়ায় যৌন অপরাধের শাস্তি বেশ কঠোর। যৌন অপরাধ আইন ২০১৭-এর ৫ ধারার অধীনে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৩০ বছরের বেশি কারাদণ্ড ও দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর চাবুক মারার শাস্তি আছে। একই আইনের ধারা ১০-এর অধীন কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৫ বছরের বেশি কারাদণ্ড ও ১০ হাজার রিঙ্গিতের বেশি জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান আছে।
অভিযোগ শুনানির পর বিচারক প্রতিটি অভিযোগের জন্য আট হাজার মালয়েশীয় রিঙ্গিত করে মোট ৯৬ হাজার রিঙ্গিতের বিনিময়ে জামিনের সুযোগ দেন। তবে এ অর্থ পরিশোধে ব্যর্থতার কথা জানান জোবাইদুল। ফলে তাকে সেরেম্বান কারাগারে পাঠানো হয়। আগামী ৩০ নভেম্বর মামলার শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post