দেশে এসে মর্যাদা না পাওয়ায় দীর্ঘদিন থেকেই প্রবাসীদের রাগ এবং ক্ষোভ ছিলো। অনেক প্রবাসী আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদও জানিয়েছেন। আবার কেউ কেউ প্রতিবাদ স্বরূপ বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করে হুন্ডিতে ঝুঁকছিলেন। তবে সম্প্রতি দেশে ডলার সংকট দেখা দেওয়ায় পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রবাসীরা। সব রাগ, ক্ষোভ আর অভিমান ভুলে দেশের এই ক্রান্তিকালে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে জানান দিচ্ছেন দেশ প্রেম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ১৫ দিনে দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ৮৬ লাখ (১০০৮ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন) ডলার। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ১০ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা। চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৫ দিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স এসেছে ১৪ কোটি ৫ লাখ মার্কিন ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স এসেছে ৮৪ কোটি ৮৩ লাখ মার্কিন ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৪ লাখ মার্কিন ডলার আর বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে এক কোটি ৬৪ লাখ মার্কিন ডলার।
এদিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে বিভিন্ন ছাড় ও সুবিধার সুফল দেখা যাচ্ছে। চলতি অর্থবছরের টানা দুই মাস ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স বৈধ পথে পাঠিয়েছে প্রবাসীরা। গত আগস্ট মাসের ২০৩ কোটি ৭৮ লাখ (২ দশমিক ০৩ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। তার আগের মাস জুলাইয়ে এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। জুলাই মাসে ঈদ-উল আজহার কারণে দেশে বিপুল পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছিল। তবে আগস্টে বড় উৎসব ছিল না, তারপরও প্রবাসী আয় ২০০ কোটি ডলার ছাড়ায়। চলতি বছরের প্রথম আট মাসের মধ্যে যে তিন মাস প্রবাসী আয় ২০০ কোটি ডলারের বেশি ছিল।
আরো পড়ুন:
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রবাসীসহ ৩ জনের মৃত্যু
দখলদার ইসরাইলের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করলো কাতার
সৌদি আরবে একদিনে দুই প্রবাসীর মৃত্যু
তিন মাসেও বিমানবন্দরে হারানো লাগেজ ফেরত পাননি প্রবাসীরা
ইয়াবা-অস্ত্র দিয়ে নিজের স্ত্রী-সন্তানকে ফাঁসানোর চেষ্টা
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post