পৃথিবীর বাইরে অন্য কোথাও কি প্রাণের অস্তিত্ব আছে? আছে কি পৃথিবীর মতোই বসবাস উপযোগী কোনো গ্রহ? যেখানে চাইলেই পাঠানো যাবে মানুষ? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টার কোনো কমতি নেই। যুগের পর যুগ ধরে চলছে গবেষণা, চলছে নানা তথ্য উপাত্তের চুলচেরা বিশ্লেষণ। যার জন্য, নিজেদের ছায়াপথের গণ্ডি পেরিয়ে নজর রাখছেন বাইরের ছায়াপথেও। নিরলস গবেষণায় এবার বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর মতোই এক গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন। যা রীতিমতো তাক লাগিয়েছে গোটা বিশ্বাবাসীকে।
এ যাবতকালের সর্ববৃহৎ টেলিস্কোপ হিসেবে বেশ আলোচিত ‘জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ’, যা একের পর এক চমক দেখাচ্ছে । সম্প্রতি জেমস ওয়েবের তোলা বৃহস্পতি গ্রহের কিছু চোখ ধাঁধাঁনো ছবি প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর আগেও টেলিস্কোপটি ১৩০০ কোটি বছর আগের মহাবিশ্বের ছবি তুলে ধরে বিশ্ববাসীর সামনে, যা আগে কখনোই দেখা সম্ভব হয়নি!
সম্প্রতি এ পৃথিবীর মতোই একটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গ্রহটি পৃথিবী থেকে ১০০ আলোকবর্ষ দূরে। আকারে এটি পৃথিবীর চেয়ে পাঁচ গুণ বড়। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই গ্রহের এক বছর হয় মাত্র ১১ দিনে, কারণ এর একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে ১০.৮ দিন। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মনে করেন, নতুন আবিষ্কৃত ‘Ross 508 b’ নামের গ্রহটি পানি ধরে রাখতে সক্ষম।
তবে ১০০ আলোকবর্ষ দূরের এই গ্রহে সত্যিই পানি রয়েছে কি-না, তা জানার জন্য আরও পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তারা। তবে একই সঙ্গে মনে করছেন, পানি থাকলেও এই গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারণ গ্রহটি পুরোপুরি পাথুরে। ‘জেমস ওয়েব টেলিস্কোপে’র সাহায্যে এই গ্রহকে আরও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন গবেষকরা, তারপরই বহু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।
এদিকে সৌরজগতের বাইরে একটি গ্রহের বায়ুমণ্ডলে প্রথমবারের মতো কার্বন ডাই-অক্সাইড শনাক্ত করেছে নাসার ‘জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ’। গ্রহটির নাম “ডব্লিউএএসপি- থ্রি নাইন বি” (WASP-3 9 b)। যেহেতু প্রাণীকুল কার্বন ডাই অক্সাইড নিশ্বাসের মাধ্যমে ত্যাগ করে, তাই গবেষকরা আশা করছেন, ভবিষ্যতে ওই গ্রহতে প্রাণের খোঁজ মিলতেও পারে!
“ডব্লিউএএসপি- থ্রি নাইন বি” (WASP-3 9 b) নামের উত্তপ্ত গ্যাসীয় গ্রহটি ২০১১ সালে আবিষ্কৃত হয়। এটি আমাদের সৌরজগতের শনি গ্রহের সম-আকৃতির। তবে গ্রহটির ব্যাস বৃহস্পতির চেয়ে ১.৩ গুণ বেশি। গ্রহটি একটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে চারদিন পরপর একবার পরিক্রমণ করছে। এছাড়া নাসার এক বিবৃতিতে বলা হয়, গ্রহটি যখন নক্ষত্রের সামনে দিয়ে যায়, তখন তার পুরো আলো প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু নক্ষত্রের প্রান্ত বা আশপাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সামান্য আলো বায়ুমণ্ডলের ভেতর দিয়ে যেতে পারে। গ্রহটির কক্ষপথের ফ্রিকোয়েন্সি ও এর বিশাল বায়ুমণ্ডলের এই সামান্য পরিবর্তন শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে জেমস ওয়েবের অতি-সংবেদনশীল ‘এনআইআর স্পেক’ (NIR Spec)। এ থেকেই গ্রহটির বায়ুমণ্ডলের গ্যাস বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
আরো পড়ুন:
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রবাসীসহ ৩ জনের মৃত্যু
দখলদার ইসরাইলের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করলো কাতার
সৌদি আরবে একদিনে দুই প্রবাসীর মৃত্যু
তিন মাসেও বিমানবন্দরে হারানো লাগেজ ফেরত পাননি প্রবাসীরা
ইয়াবা-অস্ত্র দিয়ে নিজের স্ত্রী-সন্তানকে ফাঁসানোর চেষ্টা
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post