শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাগেজ হারানোর ঘটনা নতুন নয়। আবার হারিয়ে যাওয়া এসব লাগেজ ফেরত পেয়েছেন এমন যাত্রীর সংখ্যা হাতে গোনা। বিমানবন্দরে হারিয়ে যাওয়া এসব লাগেজে ছিল প্রিয়জনদের জন্য উপহার বা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। কিন্তু শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণের কয়েক সপ্তাহ কিংবা মাস তিনেক কেটে গেলেও লাগেজের দেখা পাননি অনেকে। দায়সারা জবাব দিচ্ছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও।
এমনই ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন হলেন কানাডা প্রবাসী কলি। তিনি বলেন, সাতদিন হয়ে গেছে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মেইল করছি, যোগাযোগ করছি। কিন্তু তারা আমাকে কোনো উত্তর দেয় না কিংবা ইতিবাচক কিছু জানাচ্ছেও না। একই ঘটনার শিকার কলির বন্ধুও। কলি বলেন, আমার সাথে একই দিনে আমার এক বন্ধু এসেছে। তারও একটা লাগেজ হারিয়েছে, আমারও একটা। এখন তো আমাকে কানাডা ফিরে যেতে হবে। এই লাগেজ কবে ফেরত পাবো তা জানি না।
লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ডে লিখিত অভিযোগ দেয়ার কয়েক সপ্তাহ, এক মাস বা তার চেয়েও বেশি সময় পর লাগেজ ফিরে পেয়েছেন অনেকে। কিন্তু প্রায় তিন মাস পরও লাজের কোনো খোজ খবর নেই এমন যাত্রীর সংখ্যাও কম নয়। লাগেজ হারানোর এসব অভিযোগের বিষয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, গত কয়েক মাসে দেশে এসেছেন অনেক যাত্রী, যাদের লাগেজ একই বিমানে আসেনি। কারো একটি আসলেও অন্যটি আসেনি। কঠোর জবাবদিহিতার মধ্য আনার পর অবশ্য পরিবেশ কিছুটা পাল্টেছে।
এনিয়ে বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম বলেন, এয়ারলাইন্সের সাথে কোঅর্ডিনেট করার পর অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি এই সমস্যা। এখন .৫ শতাংশ লাগেজ হারানোর ঘটনা ঘটছে। আমরা প্রতিদিন কঠোরভাবে এটি মনিটরিং করছি। কিন্তু দুই থেকে তিন মাসেও যারা লাগেজ ফিরে পাননি তারা কবে নাগাদ পাবেন কিংবা পাবেন কিনা সে নিশ্চয়তাও কেউ দিচ্ছে না বলে আক্ষেপ জানিয়েছেন ভুক্তভোগিরা।
সূত্র: যমুনা টিভি
আরো পড়ুন:
ওমানের মাস্কাট বিমানবন্দরের রানওয়েতে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে আগুন
একদিনে খৎনা, বিয়ে আবার চলেও গেলেন একসঙ্গে দুই ভাই!
ওমান প্রবাসীদের জন্য সুখবর, সহজ হলো ভিসা নবায়ন
সৌদি আরবের চার দেয়ালে বন্দি হাজারো বাংলাদেশি
জর্ডানে চারতলা ভবন ধস, আতঙ্কে প্রবাসীরা
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post