শ্রেষ্ঠ কুড়ের সন্ধানে রাজার আলসেমি প্রতিযোগিতার আয়োজন; শৈশবের সেই গল্প যেন বাস্তবে রূপ নিয়েছে কলম্বিয়ার ইতাগুই শহরে। বিশ্ব আলসেমি দিবস পালনে মাঝ সড়কেই কাঁথা-বালিশ নিয়ে শুয়ে বসে দিন পার করেন বাসিন্দারা। অলসদের নাকি উন্নতি নেই; কতো বদনাম তাদের! অথচ রীতিমতো আয়োজন করে আলসেমির প্রদর্শনী হলো কলম্বিয়ায়। শুয়ে-বসে-ঘুমিয়ে পালিত হলো বিশ্ব আলসেমি দিবস। রোববার (২১ আগস্ট) মহা ধুমধামে দিনটি উদযাপন করেন কলম্বিয়ার ইতাগুই শহরের বাসিন্দারা। এদিন মাঝ সড়কে বিছানা পেতে অবসর সময় কাটান তারা। মূলত ব্যস্ত জীবনে বিশ্রামের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতেই আলসেমি দিবসের ব্যতিক্রমী আয়োজন।
একই সাথে শিল্প, সংস্কৃতি উপভোগে অবসরের গুরুত্বও প্রকাশ পায় এর মধ্য দিয়ে। পুরো আয়োজনের মধ্য দিয়ে চেষ্টা করা হয় আলসেমিকে স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে তুলে ধরার। ১৯৮৫ সাল থেকে কলম্বিয়ার ব্যস্ততম নগরী খ্যাত ইতাগুইয়ে সূচনা হয় এই দিবসটির। ২৭ বছর ধরে স্থানীয়ভাবেই দিনটিকে ধুমধাম করে পালন করতো বাসিন্দারা। পরে ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায় আলসেমির জন্য বিশেষ এই দিনটি।
বিশেষ এই দিবস আয়োজনে ধুমধামের কোনো কমতি রাখে না ইতাগুইবাসী। নানা ঢংয়ে সাজিয়ে তোলা খাট-বিছানা এবং অংশগ্রহণকারীদের বাহারি সাজ-পোশাক নজর কাড়ে দর্শনার্থীদের। আয়োজিত হয় জমকালো প্যারেডও। চাকাওয়ালা খাট নিয়ে চলে দৌড় প্রতিযোগিতা। কেবল আলসেমির প্রদর্শনী নয়, নানা ক্যাটাগরিতে পুরস্কারও দেয়া হয় প্রতিযোগিদের। বেছে নেয়া হয় সবচেয়ে সুন্দর পাজামা, সবচেয়ে সুন্দর বালিশ।
আরো পড়ুন:
চলন্ত ফ্লাইটে মাঝ আকাশে ২ পাইলটের মারামারি
প্রশিক্ষণের অভাবে দক্ষতায় পিছিয়ে প্রবাসী শ্রমিকেরা
ট্যাক্সি চালকদের জন্য নতুন নির্দেশনা জারী করলো কুয়েত
২০ বছরের প্রবাস জীবন শেষ করে বাক্সবন্দী হয়ে দেশে ফিরবেন আলী!
২৫ দিনে সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post