সরকারের পক্ষথেকে নানা সুবিধা দেওয়ার পরও আশানুরূপভাবে বাড়ছে না রেমিট্যান্স প্রবাহ। চলতি জুনের প্রথম ১৬ দিনে ৯৬ কোটি ৪১ লাখ ( ৯৬৪ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৯৩ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ৮ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা। চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে মাসের শেষে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ১৮০ কোটি ডলার হবে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকের চেয়ে খোলা বাজারে ডলারের দামের ব্যবধান বেশি থাকে। তখন বৈধ চ্যানেলের চেয়ে হুন্ডিতে রেমিট্যান্স বেশি আসে। এদিকে ওমানে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে বর্তমানে ওমান থেকে বৈধ চ্যানেলের বিপরীতে হুন্ডিতে বেশি রেট মিলছে, আর একারণেই হুন্ডিতে ঝুকছেন প্রবাসীরা।
মতাবস্থায় ব্যাংকের সঙ্গে খোলা বাজারের রেটের ব্যবধান না কমলে প্রবাসী আয় বাড়ানো কঠিন হবে। এদিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে ব্যাংকারদের সঙ্গে আলোচনা করে মাসের শুরুতে মার্কিন ডলারের রেট বাণিজ্যিক ব্যাংকের হাতে ছেড়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন প্রতিযোগিতামূলক দর নির্ধারণ করছে ব্যাংকগুলো।
এর আগে অবাধে যতো খুশি ততো রেমিট্যান্স পাঠানোর পথ সহজ করে দিয়ে গত ২৩ মে সার্কুলার জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে এখন পাঁচ হাজার ডলারের ওপর বা ৫ লাখ টাকার বেশি রেমিট্যান্স আসলেও কোনো কাগজপত্র ছাড়াই প্রণোদনা পাচ্ছেন প্রবাসীরা। আগে পাঁচ হাজার ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠাতে বৈধ কাগজপত্র জমা দেওয়া বাধ্যবাধকতা ছিল। কিন্তু তারপরও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়েনি।
আরো পড়ুন:
মালয়েশিয়া সিন্ডিকেটে জড়িত মন্ত্রী সচিব!
সিলেটে ১২২ বছরের ইতিহাসের ভয়াবহ বন্যা
বিমানের এসি লাইট বন্ধ, অন্ধকার বিমানে আবদ্ধ প্রবাসীদের চরম ক্ষোভ
পাহারধসে সবাই মারা গেলেও আকস্মিকভাবে বেঁচে যান ছয় মাস বয়সী যমজ সন্তান
দেড় মাসের নববধূ ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা!
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post