ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্ববাজারে তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। কারণ সরবরাহ সংকটের পাশাপাশি রাশিয়ার তেলে এরই মধ্যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাছাড়া পশ্চিমাবিশ্ব মস্কোর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর একের পর এক কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। এমন পরিস্থিতিতে জ্বালানি ইস্যুতে রাশিয়ার বিকল্প খোঁজা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে বিশ্বের কোন কোন দেশ সবচেয়ে বেশি তেল উৎপাদন করে।
জানা গেছে, তেল উৎপাদনে বিশ্বের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ওপেক। এটি তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর একটি সংগঠন। এটি ১৩টি দেশ নিয়ে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্বের ৮০ শতাংশ প্রাকৃতিক তেলের (প্রভেন ক্রুয়েড অয়েল) মজুত রয়েছে সংস্থাটির অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর কাছে। তবে ওপেকের সদস্য না হয়েও যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ায় তেলের একটি বড় অংশ মজুত রয়েছে। বিশ্ব ক্রুয়েড অয়েলের ৪০ শতাংশ ও মোট পেট্রোলিয়ামের ৬০ শতাংশ উৎপাদন করে ওপেক। যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি বিভাগ থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
২০২০ সালে দৈনিকভিত্তিতে সবচেয়ে বেশি তেল উৎপাদন করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি এসময় দৈনিক ১৮ দশমিক ৬১ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন করে, যা বিশ্বের মোট ২০ শতাংশ। এরপরই সৌদি আরবের অবস্থান। এটি উৎপাদন করে ১০ দশমিক ৮১ মিলিয়ন ব্যারেল, যা বিশ্বের মোট ১২ শতাংশ। ১০ দশমিক পাঁচ মিলিয়ন ব্যারেল উৎপাদন করে রাশিয়ার অবস্থান তৃতীয়, যা বিশ্বের মোট ১১ শতাংশ। এরপরই রয়েছে কানাডা ও চীন। দেশ দুটি যথাক্রমে উৎপাদন করে পাঁচ দশমিক ২৩ শতাংশ ও চার দশমিক ৮৬ শতাংশ, যা বিশ্বের মোট ছয় শতাংশ ও পাঁচ শতাংশ।
তাছাড়া ইরাক দৈনিক চার দশমিক ১৬ মিলিয়ন ব্যারেল, সংযুক্ত আরব আমিরাত তিন দশমিক ৭৮ মিলিয়ন ব্যারেল, ব্রাজিল তিন দশমিক ৭৭ মিলিয়ন ব্যারেল, ইরান তিন দশমিক এক মিলিয়ন ব্যারেল ও কুয়েত দুই দশমিক ৭৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন করে। তবে শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় নাম নেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post