নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকা পড়া বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের ২৮ নাবিক-ক্রু দেশে ফিরেছেন। রোমানিয়ার বুখারেস্ট থেকে টার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে বুধবার দুপুর ১২টা ১ মিনিটে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।
জাহাজের ২৮ নাবিক-ক্রুরা হলেন-জি এম নুর ই আলম, মো. মনসুরুল আমিন খান, সেলিম মিয়া, রমা কৃষ্ণ বিশ্বাস, মো. রুকনুজ্জামান রাজিব, ফারিয়াতুল জান্নাত তুলি, ফয়সাল আহমেদ সেতু, মোহাম্মদ ওমর ফারুক, সৈয়দ আসিফুল ইসলাম, রবিউল আউয়াল, সালমান সরওয়ার সামি, ফারজানা ইসলাম মৌ, মো. শেখ সাদি, মো. মাসুদুর রহমান, মো. জামাল হোসাইন, মোহাম্মদ হানিফ, মো. আমিনুর ইসলাম, মো. মহিন উদ্দিন, হোসাইন মোহাম্মদ রাকিব, সাজ্জাদ ইবনে আলম, নাজমুল উদ্দিন, মো. নজরুল ইসলাম, সরওয়ার হোসাইন, মো. মাসুম বিল্লাহ, মোহাম্মদ হোসাইন, মো. শফিকুর রহমান, মো. আতিকুর রহমান ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
১৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের বাল্ক ক্যারিয়ার বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজ তুরস্ক থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে জলসীমায় নোঙর করে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি উদ্ভূত হলে অলিভিয়া বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।
জাহাজটি ২৯ জন নাবিক-ক্রু নিয়ে ওখানেই নোঙর করা অবস্থায় আটকা পড়ে। বাংলাদেশ সময় ২ মার্চ রাত ৯টা ২৫ মিনিট ও ইউক্রেন সময় ৫টা ২৫ মিনিটে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে রকেট হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বিস্ফোরণে মারা যান জাহাজটির থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান।
এ ঘটনার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েন জাহাজে আটকে থাকা বাকি ২৮ নাবিক-ক্রু। এরপর টাগবোটের সাহায্যে বেঁচে থাকা ২৮ নাবিক-ক্রু’দের বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় তীরে আনা হয়। তাদের রাখা হয় ইউক্রেনের অলভিয়া এলাকার একটি বাংকারে। সেখান থেকে ৫ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায় সড়কপথে যাত্রা শুরু করে ৬ মার্চ সন্ধ্যায় ২৮ নাবিক-ক্রু রোমানিয়ার একটি হোটেলে পৌঁছায়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post