সাম্প্রতিক সময়ে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় আগামী দুই সপ্তাহের জন্য ফের বিধিনিষেধ আরোপ করেছে মহামারী মোকাবেলার দায়িত্বে থাকা ওমানের সুপ্রিম কমিটি। শুক্রবার (২১-জানুয়ারি) কমিটির এক বৈঠকে বলা হয়, এখন থেকে সকল অফিস আদালত এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ৫০ শতাংশ উপস্থিত হয়ে কাজ করতে পারবে। বাকি ৫০ শতাংশ বাড়ি থেকে অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করবে।
মসজিদে ৫০ শতাংশ মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারবে, তবে শুক্রবারের জুমার নামাজ বন্ধ থাকবে। সকল ধরনের প্রদর্শনী, সভা সমাবেশ বা জনসমাগম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেইসাথে রেস্তোরাঁ, ক্যাফে, দোকানপাটে ৫০ শতাংশের বেশি উপস্থিত হতে পারবেনা। একইসাথে করোনা ভ্যাকসিন, সামাজিক দূরত্ব এবং মাস্ক পরার উপর জোর দিতে বলছে সুপ্রিম কমিটি।
এদিকে, বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত বাড়তে থাকায় দেশের সব স্কুল, কলেজ ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও একই ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়ে শুক্রবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ।
সেখানে বলা হয়েছে, কোনো সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়, রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে একশ জনের বেশি মানুষের সমাবেশ করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে যারা যোগ দেবেন, তাদের অবশ্যই টিকা সনদ অথবা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করা পিসিআরে কোভিড টেস্টের রিপোর্ট দেখাতে হবে।
সরকারি, বেসরকারি অফিস এবং শিল্প কারখানায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিকা সনদ নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। বাজার, শপিং মল, মসজিদ, বাস স্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেল স্টেশনসহ সাধারণ লোকসমাগমের স্থানে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।
স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমানোর জন্য সরকার নতুন করে এসব পদক্ষেপ নিয়েছে।
শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার বিধিনিষেধ দিলেও মানুষ সেভাবে মানছে না। মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না বলেই সংক্রমণ বাড়ছে। স্কুলের শিক্ষার্থীরাও আক্রান্ত হচ্ছে। এ কারণেই ফের স্কুল বন্ধের মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
“আমরা স্কুল খুলেছিলাম। কিন্তু ইদানীং লক্ষ করলাম স্কুল কলেজের সংক্রমণ বেড়ে গেছে। তারা আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালে আসছে চিকিৎসার জন্য। এটা আশঙ্কাজনক। সংক্রমণ এভাবে বাড়লে ঢাকার শহরের সব হাসপাতালে দেখা যাবে বেড খালি নাই।
“এ কারণে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে উনার সম্মতি সাপেক্ষে স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। উদ্দেশ্য সংক্রমণ যেন কমে, বাচ্চারা যেন আক্রান্ত না হয়। দুই সপ্তাহ পর পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post