মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে কনকনে ঠাণ্ডা ও হিমেল বাতাসের সঙ্গে উড়ছে প্রচণ্ড ধুলাবালি। ভয়াবহ এই ধূলি ঝড়ের কারণে ইতিমধ্যেই দেশ দুটিতে সতর্কতা জারী করা হয়েছে। ওমানে বৃহস্পতিবার (২০-জানুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া এই ধূলি ঝড়ের কারণে যানবাহন চলাচলে ব্যাপক বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। প্রচণ্ড বাতাসের কারণে বেশ উত্তাল রয়েছে আরব সাগর।
এদিকে আমিরাতে এই বালু ঝড়ের কারণে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে দেশটির ন্যাশনাল সেন্টার অফ মেটিওরোলজি (এনসিএম)। শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) আমিরাত জুড়ে ধূলিঝড় ও প্রবল বাতাস বইছে। বিশেষ করে রাজধানী আবুধাবি, দুবাই, শারজাহ, আজমান, উম্ম আল কুওয়াইন ও রাস আল খাইমায় বালি উড়ছে। তাপমাত্রা কমেছে, জেবেল জাইসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এনসিএম সূত্রে জানা গেছে, উত্তর-পশ্চিমের বাতাসের কারণে ধুলো-বালি উড়ছে যা কিছু এলাকায় দৃশ্যমানতা কমিয়ে দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে গাড়ি চালানোর সময় চালকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। যারা অ্যালার্জিতে ভুগছেন তাদেরও বাইরে যাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলা হয়েছে।
সাধারণভাবে আবহাওয়া দিনের সময় ঠাণ্ডা এবং উপকূলীয়, উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে আংশিক মেঘলা ও তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, দেশটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৬-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে। উপকূলীয় অঞ্চলে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ১৭-২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও পার্বত্য অঞ্চলে ১২-১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে।
শুক্রবার জাবাল জাইস ও রাস আল খাইমাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আরব সাগরের অবস্থা খুবই রুক্ষ। আরব উপসাগরে ঢেউয়ের উচ্চতা ৯/১০ ফুট ও ওমান সাগরে ৬-৮/৯ ফুট বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। এমতাবস্থায় নাগরিক ও প্রবাসীদের সতর্কতার সাথে চলাচল করতে অনুরোধ জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
Discussion about this post