ওমানে সুপ্রিম কমিটির আইন অমান্য করলে ২০০ রিয়াল জরিমানা করা হবে জানিয়েছেন দেশটির পাবলিক প্রসিকিউটর। করোনা নিয়ন্ত্রণে ওমান সুপ্রিম কমিটির আইন না মানার কারণে দেশটির সরকার এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানাগেছে। বৃহস্পতিবার দেশটির করোনাভাইরাসের সর্বশেষ তথ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছে ওমান সুপ্রিম কমিটি। এসময় দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওমানে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি ১২২ জন, যাদের মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ৩২ জন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশটিতে ২৫ জন করোনা রোগীকে প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়েছে যাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছে ১৮ জন। এ সময় পাবলিক প্রসিকিউটর বলেন, যারা সরকারের অনুমোদনের বাহিরে কোনও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করবে তাদের ২০০ রিয়াল জরিমানা করা হবে। তিনি আরও বলেন, আইন লঙ্ঘনকারীদের জন্য জরিমানা করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ তহবিলে স্থানান্তরিত হবে। প্রত্যেক অপরাধীকে ৪৮ ঘণ্টা কারাদণ্ড দেওয়া হবে ও ১০০ রিয়াল জরিমানা করা হবে। এছাড়াও মাস্ক না পরার জন্য ২০ রিয়াল জরিমানা করা হবে। এসময় পাবলিক প্রসিকিউটর বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশটির পুলিশ সকল সরকারী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অধিকার রাখে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় ওমানে করোনা আক্রান্তের পরিমাণ বেশি না হওয়ায় দেশটিতে কারফিউ থাকবে না। তবে আরওপি কঠোরভাবে নজরদারি করবে। তিনি বলেন, দেশটিতে ওমানিদের করোনার রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মানে বর্তমানে অনেকে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম অনুসরণ করছেন না।
আরও পড়ুনঃ ওমানে ভালো নেই প্রবাসী বাংলাদেশিরা
এসময় সুপ্রিম কমিটির আরেক সদস্য শেখ খলিফা আল হারথি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশটিতে প্রায় ২ হাজার ৫০০ জন প্রবাসী আটকা পড়েছে। পরে পাবলিক প্রসিকিউটর বলেন, সুপ্রিম কমিটির সিদ্ধান্ত না মানার জন্য কিছু নাগরিককে ছয় মাসের জেল ও জরিমানা করা হয়েছে। এসময় দেশটির সরকারী আইনজীবী বলেন, এখন পর্যন্ত ওমানে ১১০ টি মামলা পেয়েছে আদালত। যার মধ্যে ৮ টি আদালতে রায় জারি করা হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post