ওমানে কর্মরত বিদেশি শ্রমিকদের মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা এখন সবচেয়ে বেশি। ওমানজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে প্রায় ৮ লাখের মতো বাংলাদেশি। কাজের জন্য বেশিরভাগ শ্রমিককে থাকতে হচ্ছে শহরের বাইরে বা মরুভূমিতে। যদিও তাদের অধিকাংশেরই রুম অথবা সিট ভাড়া থাকে রাজধানী মাস্কাটের বাঙ্গালি অধ্যুষিত এলাকা হামরিয়াতে।
প্রতি বছর জুন-জুলাইতে ৪৮ থেকে ৫২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কঠোর পরিশ্রম করেন অসংখ্য প্রবাসী বাংলাদেশী। এইসব প্রবাসী সারাদিন কাজের মধ্যে পার করলেও রাত কাটে নানা দুশ্চিন্তায়! একদিকে পরিবারের চিন্তা অপরদিকে যে কোনো সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতারের ভয়! তবে এখন সকল ভয়ভীতির উপরে সবচেয়ে বড় ভয় কাজ করছে কাজের নিশ্চয়তা নিয়ে। মহামারী করোনার ভয়াল থাবায় তেলসমৃদ্ধ এই দেশটিতে ইতিমধ্যেই অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। বহু কোম্পানি থেকে কর্মী ছাটাই করা হচ্ছে। অপরদিকে দেশটির সরকার নানা পেশায় ওমানিকরন করায় বেশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে এই দেশটির প্রবাসীরা।
সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশের তুলনায় ওমানিরা বাংলাদেশিদের বেশি সম্মান করে, সেইসঙ্গে বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় ওমানে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীও বেশি ওমানে। বর্তমানে দেশটির বাংলাদেশি শ্রমিকরা তেমন ভালো নেই, সেইসঙ্গে যারা ব্যবসা বাণিজ্য করছেন, তাদের ব্যবসাও গত ২বছর যাবত অনেক মন্দা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির বিশিষ্ট বাংলাদেশি প্রবাসী ব্যবসায়ীরা। বর্তমান করোনার কারণে অনেক কোম্পানি তাদের শ্রমিকদের বেতন দিচ্ছেন না এমন খবরও পাওয়া যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। দেশটির শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘শ্রমিক ইউনিয়নের’ দাবী ওমানে এখন শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে অনেক কোম্পানি।
আরও পড়ুনঃ করোনায় বড় কষ্টে আছেন প্রবাসী শ্রমিকেরা
টানা লকডাউনের কারণে খাদ্য সংকট সহ চিকিৎসার অভাবে বহু প্রবাসী বাংলাদেশী। দীর্ঘদিন বেকার থাকায় কর্মহীন অলস সময় কাটাচ্ছেন প্রবাসীরা। দূতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষথেকে দেওয়া ত্রাণ দেওয়া হলেও তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম বলে জানিয়েছেন প্রবাসীরা। সবকিছু মিলিয়ে ভালো নেই মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ ওমানের প্রবাসিরা। এমতাবস্থায় দেশে ফেরত আসতে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন লক্ষাধিক প্রবাসী। আউটপাশের অপেক্ষায় দিন গুনছেন তারা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post