সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দাস প্রথা বিলুপ্ত করে শ্রমিকদের জন্য দারুণ সুখবর দিলো মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান। বৃহস্পতিবার ওমান শ্রম মন্ত্রণালয়ের এক সূত্রে জানাগেছে এখন থেকে ওমান সরকারের আইন অনুযায়ী কোনো শ্রমিকের ভিসার মেয়াদ শেষ হলে উক্ত প্রবাসী অন্য কোম্পানিতে এনওসি ছাড়া-ই ভিসা লাগাতে পারবেন।
মন্ত্রণালয়ের সূত্র আরো জানিয়েছে, মালিক বা কোম্পানি পরিবর্তন করতে কোন প্রবাসীকে দেশে আসতে হবেনা। ওমানে থেকেই ভিসার মেয়াদ শেষ হলে সরাসরি অন্য কোম্পানিতে ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ পাবেন প্রবাসীরা।
এতে পূর্বের মালিক বা কোম্পানির কোনো অনুমতির প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ এখন থেকে কোনো প্রবাসী তার কোম্পানি বা মালিক পরিবর্তন করতে চাইলে খুব সহজেই ওমানের অন্য যেকোনো কোম্পানি বা মালিক সে পরিবর্তন করতে পারবেন।
এ ছাড়াও এখন থেকে কোনো প্রবাসীর পাসপোর্ট তার মালিক বা কোম্পানি জমা রাখতে পারবেনা। ওমান সরকারের আইন অনুযায়ী প্রবাসীদের পাসপোর্ট তার নিজের কাছে থাকবে এবং এটা তার অধিকার। এই পাসপোর্ট অন্য কেউ বাজেয়াপ্ত করতে পারবেনা। যদি কোনো নিয়োগকর্তা তার শ্রমিকের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করে, তাহলে সে ওমান সরকারের আইন লঙ্ঘনের শাস্তি পাবনে।
উল্লেখ্য: ইতিপূর্বে ওমানে কোনো শ্রমিক ইচ্ছে করলে তার মালিক বা কোম্পানি পরিবর্তন করতে পারতেননা। আর এতে করে অসংখ্য প্রবাসী তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হতেন। মালিক বেতন না দিলেও মাসের পর মাস গোলামীর মতো কাজ করতে হতো প্রবাসীদের।
সেইসাথে মালিক জোরপূর্বক শ্রমিকের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করার কারণে অনেক প্রবাসী চাইলেই দেশে আসতে পারতেননা। এমনকি কারো বাবা মারা গেলেও মালিক পাসপোর্ট না দিলে দেশে আসার সুযোগ ছিলোনা প্রবাসীদের। তবে এখন থেকে কোনো প্রবাসীর পাসপোর্ট তার মালিক বা প্রতিষ্ঠান বাজেয়াপ্ত করতে পারবেনা বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে ওমানের শ্রম মন্ত্রণালয়।
অপরদিকে বৃহস্পতিবার (২-ডিসেম্বর) রয়্যাল ওমান পুলিশ জানিয়েছে, যেসব প্রবাসী ছুটিতে নিজ দেশে যেয়ে ৬ মাসের অধিক সময় রয়েছে, তাদের পুনরায় ওমান প্রবেশের ক্ষেত্রে এনওসি প্রয়োজন হবে। অর্থাৎ কেউ যদি ওমানের বাহিরে ৬ মাসের অধিক সময় থাকে, তাহলে পুনরায় ওমান প্রবেশ করতে হলে এনওসি লাগবে। অন্যথায় ওমান প্রবেশের অনুমতি পাবেনা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post