উত্তপ্ত মরুভূমির দেশ দুবাই। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির সরকার সিদ্ধান্ত নেয় কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরির। এটি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিজ্ঞানীরা। নতুন প্রক্রিয়ায় বৃষ্টিও নামান তারা। ড্রোন থেকে কৃত্রিমভাবে বৈদ্যুতিক চার্জ ব্যবহার করে আবহাওয়াকে পাল্টে দেন বিজ্ঞানীরা। ফলে মরুর দেশটিতে দেখা মেলে বৃষ্টির। বলা চলে, জোর করেই বৃষ্টি নামিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
তবে এবার কৃত্রিম উপায়ে বৃষ্টি না নামিয়ে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছেই প্রার্থনা করলো দেশটির সরকার। বৃষ্টির জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে নামাজ আদায় করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। গতকাল ১২ নভেম্বর দেশটির প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের আহ্বানে রাষ্ট্রীয়ভাবে জুমার আগে সব মসজিদে সালাতুল ইস্তিখা অর্থাৎ বৃষ্টির নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
আমিরাতের আবুধাবিতে দুপুর ১২টা, দুবাইয়ে বেলা ১১টা ৫৬, শারজায় বেলা ১১টা ৫৫, আজমানে বেলা ১১টা ৫৪, উম্ম আল ক্বাইওয়াইনে বেলা ১১টা ৫৪, রাস আল খাইমাহতে বেলা ১১টা ৫৩, ফুজাইরাহতে বেলা ১১টা ৫১, খুর ফাক্কানে বেলা ১১টা ৫১, আল আইনে বেলা ১১টা ৫৪, আল ধাফরায় দুপুর ১২টা ২ মিনিটে মহান আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চেয়ে নামাজ আদায় করা হয়। হাদিসের সূত্র অনুযায়ী বৃষ্টির জন্য মহানবী মুহাম্মদ (সা.) এ নামাজ আদায় করতেন।
করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এ নামাজের আয়োজন করে আমিরাত সরকার। এ বিষয়ে আমিরাতের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড এনডাউমেন্ট বিভাগ জানায়, দুবাইয়ের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিস, শারজার ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স বিভাগ অ্যান্ড আওকাফের সমন্বয়ে দেশটির সব মসজিদ ও খোলা মাঠে বৃষ্টির নামাজের ব্যবস্থা করা হয়। এতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিরা নামাজে অংশগ্রহণ করেন।
মুহাম্মদ (সা.) গরমের প্রচণ্ড তাপদাহ থেকে বাঁচতে ও বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় করতে বলেছেন। এ নামাজকে সালাতুল ইস্তিসকা বলা হয়। ইস্তিসকা এর অর্থ পানি প্রার্থনা করা। অনাবৃষ্টিতে খুব বেশি কষ্ট হলে সব মুসল্লিদের নিয়ে একত্রে খোলা মাঠে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করা হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post