করোনাভাইরাস মোকাবেলায় এবার “অ্যান্টি-ভাইরাস ফ্যাব্রিক” আবিষ্কার করলো বাংলাদেশি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। দুই মাসেরও বেশি গবেষণার পরে জাবের অ্যান্ড জুবায়ের ফ্যাব্রিক্স লিমিটেড (জেড এন্ড জেড) নতুন এই ফ্যাব্রিক্স আবিষ্কার করেছেন।
সংস্থাটির ব্র্যান্ড ম্যানেজার আনল রায়হান জানিয়েছেন, “আমরা নতুন এই ফ্যাব্রিকে এক অনন্য উপাদান যুক্ত করেছি, যা তৈরি করেছে সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক একটি রাসায়নিক সংস্থা। নতুন এই উপাদানের কারণে দুই মিনিটের মধ্যেই ৯৯ শতাংশ করোনাভাইরাসকে ধ্বংস করতে পারবে এবং ১০ মিনিটের মধ্যে ১০০ শতাংশ,” ফার্মটির ব্র্যান্ড ম্যানেজার আনল রায়হান শনিবার আরব নিউজকে জানিয়েছেন।
ব্র্যান্ডটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বিষাক্ত পদার্থ নিয়ন্ত্রণ আইন (টিএসসিএ), খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ), ইইউর পরিবেশগত সুরক্ষা এজেন্সি (ইপিএ) থেকে পরিক্ষিত। বর্তমানে ফ্যাব্রিকটি যুক্তরাষ্ট্রে বাজারজাত করার অনুমতি পেয়েছে। এছাড়াও কানাডা ও ইউরোপীয় বাজারগুলিকে পরিবেশ-বান্ধব পণ্য হিসাবে দেখা হচ্ছে এই পণ্যটিকে।
রায়হান বলেন “দেশব্যাপী করোনা মহামারি আকার দেখা দেওয়ার পরপরই আমরা ফ্যাব্রিকের গবেষণা ও বিকাশে কাজ করার শুরু করি। তবে আমাদের কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেতে প্রায় আড়াই মাস সময় লেগেছে। উদ্ভাবকরা আশা করছেন যে ফ্যাব্রিকটি শার্ট, ট্রাউজার, মাস্ক এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) উৎপাদন করতে ব্যবহৃত হতে পারে যা বিশ্বজুড়ে রফতানি করা যাবে।”
আরও পড়ুনঃ ৭ম-পর্ব, সোমবার, রাত ৯টার প্রতিযোগীদের তালিকা
রায়হান আরও বলেন, “নতুন এই ফ্যাব্রিকে জেড অ্যান্ড জেড বিশ্বের বেশ কয়েকটি শীর্ষ ব্র্যান্ডের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।” তিনি আরও বলেন,”আমরা এখন পর্যন্ত ১০০ টিরও বেশি ব্র্যান্ডের থেকে সাড়া পেয়েছি। যার মধ্যে এইচএন্ডএম, মার্কস এবং স্পেন্সার এবং টেসকো রয়েছে। আমরা আশা করছি ঈদের পর বড় আকারের উৎপাদন শুরু করবো আমরা।”
এন্টি-ভাইরাস ফ্যাব্রিক সাধারণ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত কাপড়ের তুলনায় বেশি ব্যয়বহুল, জেড অ্যান্ড জেড বলেছে যে, ‘‘এই ফ্যাব্রিক্স নিয়মিত দামের চেয়ে প্রায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেশি হবে। এছাড়াও এই ফ্যাব্রিক্স ৩০ বার সাবান ধোয়া সহ্য করতে পারবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post