করোনা মহামারি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় ওমানে ফিরতে শুরু করেছে বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া প্রবাসীরা। করোনা মহামারিতে দেশটি থেকে অনেক বাংলাদেশি নিজ দেশে ফেরত আসছে।
কিন্তু করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় তারা বাংলাদেশে আটকে রয়েছেন। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে এই প্রবাসীরা ওমানে ফেরত যেতে হলে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে নিয়ে যেতে হবে।প্রবাস টাইমের দর্শকদের জন্য সেই গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও জরুরি কিছু তথ্য নিম্নে তুলে ধরা হলো:
১/ ওমানে যেতে সকল প্রবাসীকে অবশ্যই পাঁচ কপি করোনা টেস্টের নেগেটিভ সার্টিফিকেট সাথে রাখতে হবে। কারণ ওমানের যেকোনো বিমান বন্দরে ঢুকার সময় এই সার্টিফিকেটের এক কপি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জমা দিতে হবে। এছাড়াও বাংলাদেশের বিমানবন্দরের টিকিট কাউন্টারে বোর্ডিং পাশ নেওয়ার সময় ও ইমিগ্রেশন অফিসার পাসপোর্টে সিল মারার সময় এক কপি করে সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে যাত্রীদের।
২/ করোনা ভ্যাকসিনের আসল সনদ প্রত্যেক যাত্রীর কাছে রাখতে হবে। কারণ যাত্রীদের প্রত্যেক চেকপোস্টে এই কপি প্রদর্শন করতে হবে।
৩/ যাত্রীদের ওমানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তারাসুদ অ্যাপে নিজের তথ্য আপডেট করতে হবে। অথবা ই-মাশরিফ www.covid19.emushrif.om– এই ঠিকানায় প্রবেশ করে নিজেদের তথ্য আপডেট করতে হবে।
অথবা আড়াই রিয়াল খরচ করে যাত্রীদের বাংলাদেশ এবং ওমান অবস্থানের যাবতীয় তথ্য দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করে ওটার একটা প্রিন্ট কপি সাথে রাখতে হবে। ই-মাশরিফ সনদটি ওমান প্রবাসীদের জন্য খুবই জরুরী একটা ডকুমেন্টস।
যা একজন যাত্রীকে বাংলাদেশ থেকে ওমান পৌঁছানো পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে প্রদর্শন করতে হবে। মাস্কাট বিমানবন্দরে পৌঁছে ফ্লাইট থেকে নেমে প্রথমে এই ফর্মটা স্ক্যান করে আপনাকে সামনে অগ্রসর হতে দিবে।
আরো পড়ুনঃ
করোনা রোগীকে স্পর্শ করলেই করোনা হয় না
যেভাবে সরকারি অনুদান পাবেন প্রবাসীরা
বিদেশে মারা গেলে ক্ষতিপূরণ আদায় করবেন যেভাবে
যদি কারো দেশে অবস্থানের মেয়াদ ছয়মাস অতিবাহিত না হয়, তাহলে উক্ত যাত্রী সরাসরি ই গেট দিয়ে ইমিগ্রেশন পার হয়ে সামনের ধাপে অফিসারের কাছে যেয়ে যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র প্রদর্শন করলে উক্ত অফিসার আরেকটি পেপারে এক্সিট ষ্ট্যাম্প করে দিবেন।
অতঃপর বেল্ট থেকে উক্ত যাত্রী তার লাগেজ অথবা মালামাল নিয়ে এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে নিজ গন্তব্যে যেতে পারবেন। তবে যেসকল যাত্রী দেশে ৬ মাসের অধিক সময় অবস্থান করেছেন, তাদের জন্য স্পন্সরের এনওসি এবং রয়্যাল ওমান পুলিশে থেকে ই-ভিসা সংগ্রহ করে তার অরিজিনাল প্রিন্ট কপি সাথে রাখতে হবে। যা ওমান এয়ারপোর্টে পৌঁছে যাত্রীকে ইমিগ্রেশনে দেখাতে হবে।
৪, যাত্রীদের ওমান সরকার অনুমোদিত যেকোনো ইনস্যুরেন্স কোম্পানি থেকে একমাসের করোনা ইনস্যুরেন্স করতে হবে এবং এর প্রিন্ট কপিও সাথে রাখতে হবে। এটা বাংলাদেশের বিমান বন্দর থেকে শুরু করে মাস্কাটসহ সকল বিমানবন্দরে প্রদর্শন করতে হবে।
এদিকে আজ (১৫-সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের বেসরকারি এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান ইউএস বাংলা তাদের যাত্রীদের উদ্দেশ্যে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এখন থেকে ওমান প্রবেশের ক্ষেত্রে যাত্রীদের নিম্নে উল্লেখিত শর্ত পূরণ করতে হবে:
১, ই-মাশরিফ (E-Mushrif) রেজিস্ট্রেশন
২, এক মাসের ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স
৩, যাত্রার ৭২ ঘন্টার মধ্যে করোনার আরটি পিসিআর (RT-PCR) পরিক্ষা করাতে হবে।
৪, ভ্যাকসিনের পরিপূর্ণ ডোজ নিতে হবে, অর্থাৎ ২ ডোজ নেওয়া লাগবে এবং ভ্যাকসিনের পরিপূর্ণ ডোজ নেওয়ার ১৪ দিন পর ওমান যেতে পারবে।
৫, ভিসার মেয়াদ থাকতে হবে এবং পাসপোর্টের ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে।
৬, যারা ৬ মাসের অধিক সময় ওমানের বাহিরে রয়েছে, তাদের জন্য রয়্যাল ওমান পুলিশ কর্তৃক অনাপত্তি সনদ (NOC) লাগবে।
৭, স্মার্ট ফোন থাকতে হবে এবং মোবাইলে তারাসুদ প্লাস মোবাইল অ্যাপস ইন্সটল থাকতে হবে।
৮, যদি ভিসার মেয়াদ না থাকে, তাহলে ই-ভিসা করতে হবে এবং ভ্রমণের সময় ই-ভিসার মেয়াদ থাকতে হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
Discussion about this post