অপেক্ষাকৃত কম জনপ্রিয় পানগাঁও নদীবন্দর ঘিরে সক্রিয় অসাধু ব্যবসায়ীদের একটি চক্র। ভুয়া ঘোষণায় আমদানি করেছে বিদেশি দুধ ও কয়েক লাখ পিস ইজি সিগারেট। গোল্ড কিং ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান আমদানি করেছে এই পণ্য। পানগাঁও কাস্টম কর্তৃপক্ষ জানায়, সিগারেট বাজেয়াপ্তের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সিএন্ডএফ ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কন্টেইনার জট না থাকলেও ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে রাজধানীর কাছেই বুড়িগঙ্গা তীরের পানগাঁও বন্দর।
তবে এ বন্দর নিয়ে এরই মধ্যে সক্রিয় হয়ে উঠেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। গত ২৬ আগস্ট ছোট জাহাজে অন্যান্য কন্টেইনারের সঙ্গে দুবাই থেকে একটি কন্টেনারও আসে এ বন্দরে। তবে পণ্যের ঘোষণা অনুযায়ী কন্টেইনারটি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় সেটি নিয়ন্ত্রণে নেয় রাজস্ব বিভাগের ইন্টেলিজেন্সি ইউনিট।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) কন্টেইনারটি কাস্টম হাউজ, শুল্ক গোয়েন্দা ও ইন্টেলিজেন্সি ইউনিটের সমন্বয়ে পরীক্ষা করা হয়। এসময় খাদ্য পণ্যের ঘোষণা দিলেও কন্টেইনারে মিলে খাদ্য-পণ্য নিডো ব্রান্ডের গুড়া দুধের সাথে ইজি ব্রান্ডের সিগারেট।
এ প্রসঙ্গে পানগাঁও কাস্টম হাউজের কমিশনার ড. এ কে এম নুরুজ্জামান বলেন, খাদ্যদ্রব্যের চালানের নামে দুধের সাথে সিগারেট এসেছিল। দুধ ও সিগারেটের পরিমাণ ছিল শতকরা ৫০ শতাংশ করে।
দুবাই থেকে নিয়ে আসা এই পণ্য খালাসের জন্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ছিল সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান ই. এইচ. ট্রেডার্স। সত্ত্বাধিকারী এমদাম হোসাইনের মুঠোফোনে কয়েকবার কল দিয়েও সাড়া মেলেনি। অন্যদিকে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা রাজধানীর ২১৬ নং বংশাল দেয়া হলেও সেখানে গিয়ে পাওয়া যায়নি কোন অস্তিত্ব। তবে কাস্টম জানায়, অবৈধ পণ্য নিয়ে আসায় উভয়পক্ষকেই শাস্তির আওতায় আনা হবে।
ড. এ কে এম নুরুজ্জামান আরো বলেন, রিপোর্ট পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাদেরকে কারণ দর্শানো নোটিশও জারি করা হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post