প্রবাসী শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্র বা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনে নতুন আইন জারি করেছে ওমান সরকার। এখন থেকে নিম্নে উল্লেখিত শর্ত পূরণ সাপেক্ষে একজন প্রবাসী শ্রমিক স্পন্সরের সম্মতি ছাড়াই অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারবে। শর্ত গুলো হলো:
১, কোনো শ্রমিকের যদি ভিসার মেয়াদ বা ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ শেষ হয় এবং মন্ত্রণালয়ের সাথে নিবন্ধিত কোন বৈধ বা বিদ্যমান চুক্তি না থাকে তাহলে উক্ত প্রবাসী তার বর্তমান স্পন্সরের অনুমতি ছাড়াই অন্য কোম্পানিতে স্থানান্তরিত হতে পারবে।
২, শ্রমিক যদি নির্দিষ্ট কারণ দেখিয়ে নিয়োগকর্তার কাজের চুক্তি বাতিল করতে চায় তাহলে সে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অনুমতি পাবে।
৩, কোনো প্রতিষ্ঠান যদি চুক্তি অনুযায়ী শ্রমিকের প্রাপ্য না দেয় অথবা নির্বিচারে বরখাস্ত করে এবং আদালত উক্ত স্পন্সর বা কোম্পানিকে দোষী সাব্যস্ত করে বিচারিক আদেশ জারি করেন, তাহলে উক্ত শ্রমিক তার স্পন্সর বা মালিকের অনুমতি ছাড়াই অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ
করোনা রোগীকে স্পর্শ করলেই করোনা হয় না
যেভাবে সরকারি অনুদান পাবেন প্রবাসীরা
ওমান ও বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত করোনা ভ্যাকসিনের তালিকা
৪, আদালতের রায়ে কোনো কোম্পানিকে দেউলিয়া বা বিলুপ্তি ঘোষণা করা হলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা তার মালিক বা স্পন্সরের অনুমতি ছাড়াই অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারবেন।
৫, কোনো শ্রমিকের কর্মসংস্থানের চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে সে তার মালিক বা স্পন্সরের অনুমতি ছাড়াই অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারবেন। তবে এখন পর্যন্ত ওমানে কোনো প্রবাসী শ্রমিক তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মালিকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোম্পানিতে ভিসা পরিবর্তন করতে পেরেছেন এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে খোজ নিয়ে জানাগেছে, ভিসার মেয়াদ শেষ অথবা চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে উক্ত প্রবাসী তার ভিসা বাতিল করে দেশে এসে যদি পুনরায় নতুন ভিসায় ওমানে যান, তাহলে সেক্ষেত্রে তার নতুন কোম্পানিতে কাজের জন্য এনওসি বা পূর্বের স্পন্সরের অনুমতির প্রয়োজন হবেনা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post