যুক্তরাষ্ট্রের কুখ্যাত গুয়ানতানামো বে কারাগার থেকে ১১ জন ইয়েমেনি বন্দিকে ওমানে স্থানান্তর করা হয়েছে। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বিনা অভিযোগে আটক থাকার পর এই বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হলো।
সোমবার সন্ধ্যায় আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ বন্দিদের আটক রাখা হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়নি।
বন্দি মুক্তির এই পদক্ষেপকে ইতিবাচক উল্লেখ করে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর এক বিবৃতিতে বলেছে, “গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান প্রচেষ্টাকে আমরা সমর্থন জানাই।”
এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, “গুয়ানতানামো বে কারাগার মানবাধিকারের জন্য মার্কিন ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় অধ্যায় হয়ে থাকবে। এই মুক্তি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার পথে একটি ইতিবাচক অগ্রগতি।”
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল রাইটস (সিসিআর) জানিয়েছে, ওমানে স্থানান্তরিত বন্দিদের মধ্যে আছেন শারকাভি আল-হাজ। তিনি ২১ বছর ধরে বিনা বিচারে কারাগারে আটক ছিলেন।
এ দীর্ঘ বন্দিত্বের প্রতিবাদে তিনি বারবার অনশন করেছেন এবং গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার মুক্তি দীর্ঘ লড়াইয়ের একটি সাফল্য, যা মানবাধিকার কর্মীদের জন্য আশার আলো।
গুয়ানতানামো বে কারাগার ধীরে ধীরে বন্ধের এ উদ্যোগ বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হলেও এটি মার্কিন মানবাধিকার লঙ্ঘনের স্মরণীয় এক অধ্যায় হিসেবে ইতিহাসে থাকবে। বন্দিদের স্থানান্তর মানবাধিকারের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post