অবৈধ বসবাসের অভিযোগে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের নালাসোপাড়া এলাকা থেকে ১৩ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার মহারাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দেশটির বার্তা সংস্থা ইন্দো-এশীয় নিউজ সার্ভিসের (আইএএনএস) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, অবৈধ বসবাসকারী অভিবাসীদের ধরতে মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার ঘাটকোপার শহরের আশপাশের এলাকায় শনিবার বিশেষ অভিযান চালিয়েছে মুম্বাই পুলিশ। এ সময় অবৈধ বসবাসের অভিযোগে ১৩ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মহারাষ্ট্র পুলিশের কর্মকর্তারা বলেছেন, গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশি নাগরিকরা বৈধ নথিপত্র ছাড়াই ভারতে প্রবেশ এবং অবস্থান করছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসে (এফআরআরও) পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ভারতের ফরেনার্স আইন মেনে চলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে এবং দেশটিতে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের ওপর নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মুম্বাই পুলিশ পালঘর জেলায় অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত ও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রচেষ্টা জোরদার করেছে।
অভিযানে ছয় নারীসহ ১৩ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ বলছে, তদন্তে ওই বাংলাদেশিরা জাল নথি ব্যবহার করেছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ভুয়া আধার কার্ড জব্দ করা হয়।
এর আগে, গত শুক্রবার স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় মহারাষ্ট্র পুলিশের সন্ত্রাস-বিরোধী স্কোয়াড (এটিএস) থানে, নভি মুম্বাই এবং সোলাপুরে একাধিক অভিযান পরিচালনা করে। মহারাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের লক্ষ্য করে এই অভিযান চালানো হয় বলে পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে ভারতের ফরেনার্স অ্যাক্ট-১৯৪৬, পাসপোর্ট (ভারতে প্রবেশ) আইন-১৯৫০ এবং পাসপোর্ট আইন-১৯৬৭ এর আওতায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে একই ধরনের অভিযান চালিয়ে মুম্বাই, থানে, নভি মুম্বাই এবং নাসিক থেকে ১৭ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। পরে এই বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধেও ভারতের বিভিন্ন আইনে সাতটি মামলা দায়ের করা হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post