আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রশিক্ষণের জন্য নিম্ন আদালতের ৫০ জন বিচারককে ভারত যাওয়ার অনুমতি প্রদানের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী। তিনি বলেন, ‘বিচারকদের নির্ধারিত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তাদের পেশাদারিত্বের অর্জন, নিরপেক্ষভাবে বিচারকাজ পরিচালনার অনুপ্রেরণা মজবুত করতে ভারতের পরিবর্তে বিজ্ঞ মুফতিদের কাছে পাঠানো উচিত।
রোববার (৫ জানুয়ারি) খেলাফত আন্দোলনের এক বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী সুলতান মহিউদ্দীন, প্রচার সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি মোফাচ্ছির হোসাইন প্রমুখ।
হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, ইসলামী শাসনব্যবস্থায় বিচার বিভাগ শাসন বিভাগের প্রভাবমুক্ত থেকে স্বাধীনভাবে বিচার কাজ পরিচালনা করতে পারে। বিচারক স্বয়ং রাষ্ট্রপ্রধানদের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন— এরকম অনেক নজীর রয়েছে ইসলামের ইতিহাসে। মুসলিম বিচারকরা ন্যায়বিচারের স্বার্থে মুসলিমের বিরুদ্ধে অমুসলিমের পক্ষে রায় দিয়েছেন এমন উদারহরণও রয়েছে। অতএব, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে নির্মোহ ও নিরপেক্ষভাবে বিচার কাজ পরিচালনার জন্য সরকারের উচিত বিজ্ঞ মুফতি সাহেবদের বিচার কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা।
তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী হওয়া সত্ত্বেও তারা প্রতিবেশীসুলভ আচরণ না করে প্রভুত্বসূলভ আচরণ করতেই বেশি পছন্দ করে। আমাদের বিচারকদের প্রশিক্ষণ দেয়াটাও তাদের আধিপত্যবাদী পরিকল্পনারই অংশ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত হবে ভারতের সঙ্গে আগের হওয়া সব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক পর্যালোচনা করা এবং বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী সব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক বাতিল করা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post