মালয়েশিয়ার দুই রাজ্যে অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশিসহ ১৩৮ জন অবৈধ প্রবাসীকে আটক করেছে অভিবাসন বিভাগ। শুক্রবার (০৩ জানুয়ারি) রাতে সেলাঙ্গর রাজ্যের আমপাংয়ের একটি শপিং সেন্টারে সমন্বিত অপ কুটিপ অভিযানে ৯২ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়।
শনিবার (০৪ জানুয়ারি) সেলাঙ্গরের জেআইএমের পরিচালক খায়রুল আমিনুস কামারউদ্দিন এক বিবৃতিতে জানান, আটকদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ান ৩১, বাংলাদেশ ১৬, আফগানিস্তান ১০, পাকিস্তান ৮, নেপাল ৪, থাইল্যান্ড ৪, মিয়ানমার ৩, অস্ট্রেলিয়া ৩, ভারত ৩, ফিলিপাইন ২, সেইসাথে ইউরোপীয় এবং আফ্রিকান দেশগুলোর ৮ জন অভিবাসী রয়েছেন।
ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এর অধীনে আরও তদন্তে আটকদের সেলাঙ্গর জিআইএম এনফোর্সমেন্ট অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিচালক খায়রুল আমিনুস কামারউদ্দিন।
এদিকে জোহর ইমিগ্রেশন বিভাগ (জেআইএম) রাজ্যের চারটি জেলায় বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়ে ৪৬ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে। ১৭ থেকে ৫৩ বছর বয়সীরা যেখানে তারা কাজ করতেন এবং শ্রমিকদের ডরমেটরিতে, রাজ্যের, মুয়ার, সেগামাট, মেরসিং এবং বাতু পাহাত শাখার এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের সমন্বয়ে অভিযান চালানো হয়।
রাজ্যের অভিবাসন বিভাগের পরিচালক, দাতুক মোহাম্মদ রুশদি মোহদ দারুস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ১ জানুয়ারি মুয়ারে ১৫, চাহের আশপাশে সেগামাটে ১১, এন্ডাউ, মারসিং-এ ৯, বাতু পাহাতে ১১, মোট ৪৬ জন অভিবাসীকে আটক করা হয়।
আটকদের মধ্যে, ভারতের ৪, ১৫ জন মিয়ানমারের পুরুষ ও দুইজন নারী, তিনজন থাই পুরুষ ও চারজন নারী, পাঁচজন বাংলাদেশি, সাতজন ইন্দোনেশিয়ন পুরুষ, দুইজন পাকিস্তানি পুরুষ এবং চারজন নেপালি পুরুষ নাগরিক রয়েছে।
এছাড়া বছরের প্রথম দিনে তিন রাজ্যে অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশিসহ আটক করা হয় আরও ২৮৪ জনকে। এ নিয়ে মোট আটকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২২ জনে।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাধারণ ক্ষমা, স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফেরার কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হয় দেশটিতে থাকা অবৈধ অভিবাসীদের আটকের অভিযান। চলমান অভিযানে তটস্থ হয়ে পড়েছেন বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের অবৈধ অভিবাসীরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post