বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শুরু থেকেই খেলেছেন শহীদ আফ্রিদি। খেলার পাট চুকিয়ে চলমান আসরে ভিন্ন দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি এই অলরাউন্ডার। চিটাগাং কিংসের হয়ে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ভূমিকায় আছেন শহীদ আফ্রিদি। আজ (মঙ্গলবার) চট্টগ্রামের প্রথম ম্যাচে আফ্রিদি মাঠে উপস্থিত ছিলেন। যদিও তার দল হেরেছে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে।
মিরপুরে ব্রডকাস্ট চ্যানেলকে দেওয়া মন্তব্যে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় বাড়ি বলে উল্লেখ করেন আফ্রিদি, ‘আমি সব সময়ই বলি– বাংলাদেশ আমার দ্বিতীয় বাড়ি। এটিকে সব সময়ই আমি দ্বিতীয় বাড়ি হিসেবে দেখি। কারণ এখানে আমি অনেক ক্রিকেট খেলেছি। এখানের মানুষ ক্রিকেটের ব্যাপারে প্যাশনেট। আমিও বাংলাদেশ থেকে অনেক সম্মান পেয়েছি। পাকিস্তানের হয়ে এবং ভিন্ন ভিন্ন ফ্যাঞ্চাইজির বিপিএলে কয়েক আসরে আমার দারুণ স্মৃতি আছে। সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতা খুব ভালো। এখনও উপভোগ করছি।
আজকের ম্যাচে টাইমড আউট করেও চিটাগাং কিংস ব্যাটারকে ফিরিয়ে আনেন খুলনার অধিনায়ক মিরাজ। তার ওই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে আফ্রিদি বলেন, ‘সত্যি বলতে এটি খুব ভালো সিদ্ধান্ত ছিল। নিয়মের বিচারে অবশ্যই আউট। তবে এসব ক্ষেত্রেই স্পিরিট অব ক্রিকেটের প্রয়োগ চলে আসে। তো সবমিলিয়ে ভালোই ব্যাপারটা।
এরপর চট্টগ্রামে নিজের দায়িত্বটাও ব্যাখ্যা করলেন আফ্রিদি। নিজেদের হারের কারণও জানালেন সাবেক এই পাক তারকা, ‘খুবই সহজ। শুধু সমর্থন দেওয়া ও ছেলেদের অনুপ্রেরণা দেওয়া। এটি খুবই সহজ কাজ। মাত্র টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে। বোলিংয়ে আমরা কিছু বড় ভুল করেছি। খুব অভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণ। কিন্তু আমরা সঠিক জায়গায় বোলিং করতে পারিনি। পিচ পড়তে পারিনি। পিচ বুঝে বোলিং করতে পারলে আমার মনে হয় আমাদের দলটা খুব ভারসাম্যপূর্ণ।
প্রসঙ্গত, চিটাগাং কিংসের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করে উইলিয়াম বসিস্টোর ৭৫ এবং মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ৫৯ রানে ভর করে ২০৩ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে খুলনা টাইগার্স। জবাবে চট্টগ্রামের শামীম পাটোয়ারী আর কেউই বলার মতো ইনিংস খেলতে পারেননি। ফলে শামীমের ৭৮ রানের পরও ১৬৬ রানে অলআউট হয়ে যায় বন্দরনগরীর দলটি। খুলনা আসরের প্রথম জয় পায় ৩৭ রানে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post