সময়ের ভিন্নতা থাকায় বিশ্বের সব দেশে একসঙ্গে নতুন বছর শুরু হয় না। কোনো জায়গায় সবার আগে এবং কোনো জায়গায় সবার পরে নতুন বছর শুরু হবে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এমনটা হয়ে থাকে। ঘড়ির কাঁটা সবার আগে রাত ১২টা ছোঁবে নিউজিল্যান্ডে। তাই প্রতি বছরের মতো সবার আগে নতুন বছরকে বরণ করে নেবে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় সেখানে বর্ষবরণের উৎসব শুরু হবে।
নতুন বছরের প্রথম প্রহরে আলোর খেলা চলে স্কাই টাওয়ারে। বর্ণিল আতশবাজি, লেজার লাইটের আলোকচ্ছটায় ছেয়ে যায় অকল্যান্ডের আকাশ। ভৌগোলিক অবস্থান ভেদে প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে চলবে বর্ষবরণের আয়োজন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ভৌগোলিক কারণে সবার আগে নতুন বছরকে বরণ করবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। তবে ইএসএ আর্থ অবজারভেশনের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি মিরর জানিয়েছে, সবার আগে নতুন বছর ২০২৫ সালকে স্বাগত জানাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশ কিরিবাতি। এটি একটি দ্বীপরাষ্ট্র এবং এটি ছাড়াও আরও ১০ দ্বীপ এলাকায় একই সময়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হবে।
বর্ষবরণে বর্ণিল আয়োজন রাখা হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপ-আমেরিকার সব দেশেই। পুরোনো বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে বরণে প্রস্তুত বিশ্ব। ২০২৫ সাল যেন শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনে এই কামনা বিশ্ববাসীর। বাংলাদেশেও তরুণরা নতুন বছরকে বরণে নানা আয়োজন করে থাকে। আতশবাজি, ভ্রমণ, কনসার্ট, পিকনিকসহ নানা আয়োজন করে থাকে তারা।
জমকালো আয়োজন আর বর্ণিল আতশবাজির মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। নববর্ষ-২০২৫ উদযাপনে বর্ণিল সাজে সেজেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ার। সেখানে প্রায় ১০ লাখ মানুষের সমাগমের আশা করছে কর্তৃপক্ষ। সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি অনুকূলে আছে বলে নিশ্চিত করেছে নিউইয়র্ক পুলিশ।
তবে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় নববর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোর কোপাকাবানা সমুদ্রসৈকত কর্তৃপক্ষ। প্রায় ২৫ লাখ মানুষ কোপাকাবানায় জড়ো হবেন বলে আশা কর্তৃপক্ষের।
রিও ডি জেনিরোর মেয়র এডুয়ার্দো পেস রয়টার্সকে বলেন, নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে সৈকতে পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে। জার্মানির বার্লিনেও চলছে নববর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতি। নিরাপত্তা জোরদারে শহরে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত ৫ হাজার পুলিশ। চীনের বেইজিংয়ে নববর্ষ উপলক্ষে ফ্যাশন ও প্রযুক্তির থিমযুক্ত এক হাজারের বেশি লণ্ঠন জ্বালানো হয়েছে। একে বছরের সবচেয়ে বড় লণ্ঠন উৎসব বলা হচ্ছে। ব্যবসায়ে সমৃদ্ধি লাভের আশায় এমন আয়োজন।
এদিকে নতুন বছরে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এ সময় বিশ্বজুড়ে সমতা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর জোর দেন তিনি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post