কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। গত শুক্রবার প্রকাশিত এক ব্লগ পোস্টে ওপেনএআইয়ের পরিচালনা বোর্ড জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান কাঠামো পরিবর্তন করে এর নিয়ন্ত্রণ লাভজনক বিভাগের হাতে দেওয়া হবে।
২০২৫ সালের মধ্যে ওপেনএআই একটি ‘পাবলিক বেনিফিট করপোরেশন (পিবিসি)’ হিসেবে কাজ শুরু করবে। লাভজনক হলেও এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য সমাজের কল্যাণসাধন করা। এ নতুন কাঠামোতে লাভজনক অংশটি ওপেনএআইয়ের পরিচালনা ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করবে।
অন্যদিকে, ওপেনএআইয়ের অলাভজনক বিভাগটি ব্যবসায় শেয়ারের মালিকানায় থাকলেও ব্যবসায়িক কার্যক্রমে নিয়ন্ত্রক ভূমিকা হারাবে। অলাভজনক অংশটি স্বাধীনভাবে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও বিজ্ঞানের মতো খাতে কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে। বোর্ড বলেছে, এই কাঠামো ওপেনএআইকে প্রয়োজনীয় মূলধন সংগ্রহে সহায়তা করবে। পাশাপাশি ইতিহাসের অন্যতম সেরা সম্পদশালী অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
ওপেনএআইয়ের লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হওয়ার বিষয়ে কয়েক মাস ধরে জল্পনা চলছিল। ওপেনএআইয়ের তাদের ডেটানির্ভর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল চালু রাখতে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে। এর আগে ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিইও স্যাম অল্টম্যান এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রায় ৭ শতাংশ মালিকানা অর্জন করবেন। তবে অল্টম্যান এ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
বোর্ড জানিয়েছে, ‘বড় বড় কোম্পানি এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উন্নয়নে শত শত বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে। আমাদের মিশন এগিয়ে নিতে এমনই মূলধনের প্রয়োজন। তবে ওপেনএআইয়ের এই রূপান্তর পরিকল্পনাকে ঘিরে আইনি চ্যালেঞ্জের আশঙ্কা রয়েছে। সম্প্রতি ইলন মাস্ক ওপেনএআইয়ের মুনাফাকেন্দ্রিক রূপান্তর থামানোর জন্য একটি মামলা করেছেন। একই সঙ্গে মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বন্টাকে এই রূপান্তর ঠেকানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post