কানাডার হ্যালিফ্যাক্স বিমানবন্দরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে এয়ার কানাডার একটি বিমান। সেন্ট জন’স থেকে হ্যালিফ্যাক্সে অবতরণের সময় বিমানটি রানওয়েতে পিছলে গিয়ে এর একটি অংশে আগুন ধরে যায়। তবে সৌভাগ্যক্রমে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আনাদোলু এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
দুর্ঘটনার পরপরই হ্যালিফ্যাক্স বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কর্তৃপক্ষ রানওয়ে ও আশপাশের এলাকা নিরাপত্তার স্বার্থে পরিদর্শন ও মেরামতের কাজ শুরু করেছে।
WATCH: Air Canada flight lands with broken landing gear at Halifax airport. Only minor injuries pic.twitter.com/k6dWYMlibR
— BNO News (@BNONews) December 29, 2024
দুর্ঘটনার পর বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, রানওয়ে দিয়ে ছুটে চলা বিমানটির একটি অংশে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। এ দৃশ্য দেখে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
এয়ার কানাডার এসি২২৫৯ বিমানটি সেন্ট জন’স থেকে হ্যালিফ্যাক্সে আসার পথে অবতরণের সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্ত করে দেখছে কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে গত কয়েক দিনের মধ্যে বিমান দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েছে। রোববার মুয়ান বিমানবন্দরে একটি বিমান ভেঙে পড়ে। বিমানে থাকা ১৮১ জন যাত্রীর মধ্যে মাত্র দুজন বেঁচে আছেন।
এর আগে ২৫ ডিসেম্বর আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান রাশিয়ার দিকে যাওয়ার পথে কাজাখস্তানে ভেঙে পড়ে। বিমানে থাকা ৬৭ জনের মধ্যে ৩৮ জন মারা যান, বাকি ২৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
এই ধরনের পরপর ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা বিশ্বব্যাপী বিমান চলাচল ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলছে। হ্যালিফ্যাক্স বিমানবন্দরের এই ঘটনা আবারও মনে করিয়ে দিল যে বিমান চলাচলে উচ্চমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post