ব্র্যাকের সহায়তায় মালয়েশিয়ায় আটকে পড়া বাবা রবিউল করিম আজ বৃহস্পতিবার দেশে ফিরবেন। সন্তানের চোখে স্বপ্ন, বিকেল ৫টা ৪৫মিনিটে বাবাকে ছুঁয়ে দেখার প্রতীক্ষা।
ডলার মিয়ার বয়স তখন মাত্র ১০ বছর। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার ছোট্ট এই শিশুটি তখনও জানতো না যে তার বাবা রবিউল করিম যে স্বপ্নের কথা শুনিয়ে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন, সেই স্বপ্নই একদিন তাদের পরিবারকে ১৮ বছরের জন্য আলাদা করে দেবে।
ভিজিট ভিসায় মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন রবিউল করিম, তবে ভিসা ও পাসপোর্টের জটিলতায় আর ফেরা হয়নি দেশে। একসময় হারিয়ে ফেলেন পাসপোর্টও। দেশে ফেরার চেষ্টায় বারবার ব্যর্থ হওয়া রবিউল আটকে যান প্রবাসে।
এদিকে, বাবার অভাবে বেড়ে ওঠা ডলার মিয়ার মনে একটাই প্রশ্ন ছিল—‘বাবা কি সত্যিই আর ফিরে আসবে?’ দেখতে দেখতে ১০ বছরের শিশুটি এখন ২৮ বছরের যুবক। বাবাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ডলার মিয়া দফতরে দফতরে ঘুরেছেন, বহু জায়গায় কড়া নেড়েছেন। কিন্তু কোনোভাবেই সফলতা আসছিল না।
দুই মাস আগে ঢাকায় এসে এক ব্যক্তি ডলার মিয়াকে ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ঠিকানা দেন। সেই ঠিকানা ধরে ব্র্যাকে ছুটে যান ডলার। তার কাছ থেকে সব তথ্য সংগ্রহ করে রবিউল করিমকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করে ব্র্যাক। নানা জটিলতার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দীর্ঘ ১৮ বছর পর রবিউল করিম দেশে ফিরছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখবেন তিনি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post