ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে অবস্থান থেকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে দিল্লিকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো উত্তর না পাওয়ায় পরবর্তী পদক্ষেপের প্রস্তুতি চলছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারত সরকারের কাছে গত সোমবার কূটনৈতিকপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে।
আমরা এখনো সরকারি চ্যানেলে কোনো সাড়া পাইনি। উত্তর পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। উত্তর না পেলে ভারতকে তাগাদাপত্র পাঠানো হবে।
রফিকুল আলম বলেন, প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী চিঠির উত্তরের জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই। বিষয়টি প্রসঙ্গ ও প্রাসঙ্গিকতার ওপর নির্ভর করে।
এছাড়া শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল বক্তব্যের প্রভাব এবং এটি বাংলাদেশে কিভাবে নেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়টিও ভারত সরকারকে অবহিত করা হয়েছে।
এ সময় তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতেও কথা বলেন। রফিকুল আলম জানান, মিয়ানমার থেকে নতুন করে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবিসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
অন্যদিকে, পোল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের অংশ হিসেবে দেশটিতে বাংলাদেশের দূতাবাস চালুর বিষয়ে আলোচনা চলছে। জানুয়ারি মাসে যুক্তরাজ্যের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে বলেও তিনি জানান।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post