ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি উম্মে হানি সেতুর একটি ভয়েস রেকর্ড ফাঁস হয়েছে, যেখানে তিনি সংগঠন ও নেতৃত্বের ভেতরে লুকিয়ে থাকা অনৈতিক আচরণ ও বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছেন। ভয়েস রেকর্ডে উঠে আসা কথাগুলো সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
উম্মে হানি সেতু অভিযোগ করেন, “দল করেছি, কিন্তু নেতারা আমাকে বাঁকা চোখে দেখেছে। দেখেছে হয়তো আমি দেখতে সুন্দর বলে। আমাদের মতো নারীদের কেউ বোনের সম্মান দেয়নি, বরং ভোগের বস্তু মনে করেছে। যেসব নারী নেতাদের ব্যক্তিগত চাহিদা পূরণে রাজি হয়েছে, তারাই ভালো জায়গা পেয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমার নামে তিনটি মামলা হয়েছে। অথচ সিনিয়র অনেক নেত্রীর নামে কোনো মামলা হয়নি। আমি ছোট ছোট সন্তান রেখে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। কেউ আমার পরিবারের খোঁজ নেয় না। এই নেতাদের কারণেই আজ আওয়ামী লীগ ধ্বংসের মুখে। সেন্ট্রাল লেভেলের নেতারাও নায়িকাদের রাতভর কাছে রাখতেন।”
উম্মে হানি সেতু তার অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, “ক্ষমতায় থাকলে সুবিধাভোগীরা ভালো থাকে। যারা নেতাদের ‘কোলে’ বসতে পারে, তারাই সুবিধা পায়। যারা নেতাদের কথা শোনেনি, তারাই এখন মামলার শিকার।”
জানা গেছে, উম্মে হানি সেতু হোয়াটসঅ্যাপের একটি গ্রুপে এই ভয়েস রেকর্ডটি পাঠান, যা পরবর্তীতে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও গণমাধ্যমে তিনি দাবি করেন, “আমি কোনো বক্তব্য দিইনি। মামলার কারণে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। প্রমাণ করতে পারলে করুন।”
দলীয় নেতা-কর্মীরা মনে করছেন, এই অডিওটি সংগঠনের ভেতরের কিছু অপ্রিয় সত্যকে সামনে এনেছে। বিশেষত নারী নেতৃত্বের ক্ষেত্রে এই ধরনের বৈষম্য ও শোষণ নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এই ঘটনাটি শুধু উম্মে হানি সেতুর ব্যক্তিগত ক্ষোভ নয়, বরং একটি বড় প্রশ্ন তুলে ধরেছে—রাজনৈতিক সংগঠনগুলোতে নারীদের অবস্থান ও সম্মান নিয়ে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post