দিনাজপুরের বিরামপুর শহরের শালবাগান কালীবাড়িতে দুটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান একে অপরের পাশে অবস্থিত—একটি হিন্দু ধর্মের কালী মন্দির এবং অপরটি ইসলামী মাদ্রাসা।
ইটের দেয়ালের এক পিঠে কালী মন্দির এবং অপর পিঠে মাদ্রাসা, এই দুটি প্রতিষ্ঠান একসাথে সহাবস্থান করে, যা দুই ধর্মের মধ্যে সম্প্রীতির এক বিরল উদাহরণ।
১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ছালেহিয়া দারুস সুন্নাহ এতিমখানা ও হাফেজিয়া মাদ্রাসা মুসলিম ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি কুরআন তিলাওয়াতের কার্যক্রম পরিচালনা করছে, আর এক পাশের কালী মন্দিরে নিয়মিত পূজা-অর্চনা চলে।
এই দীর্ঘকালীন সহাবস্থানে কখনো কোনো ধর্মীয় বিরোধ সৃষ্টি হয়নি। বরং, মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা হিন্দু ধর্মের পূজা-পার্বণ উপলক্ষে সহায়তা করে থাকে, যা স্থানীয় হিন্দুদের জন্য উৎসাহের উৎস।
বিরামপুর থানার ওসি মমতাজুল হক, সম্প্রতি এই স্থানটি পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, মন্দির এবং মাদ্রাসা উভয় প্রতিষ্ঠানের ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ একে অপরের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক বজায় রেখে ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
হাফেজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ওয়াজেদুল ইসলাম এবং কালী মন্দিরের পুরোহিত জগদীশ সাধু বলেন, তাদের মধ্যে সম্পর্ক সবসময় সুমধুর। মুসলিমদের সহযোগিতায় হিন্দুদের পূজা এবং হিন্দুদের সহযোগিতায় মুসলিমদের ধর্মীয় কাজ চলে।
বিরামপুরের পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি শিশির কুমার সরকার জানান, একে অপরের ধর্মীয় আচার পালন করলেও কোনো বিরোধ সৃষ্টি হয়নি, বরং উভয় সম্প্রদায়ের মাঝে সহযোগিতা ও সম্মান বজায় রয়েছে।
এভাবে, বিরামপুরের এই দুই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান একটি চমৎকার উদাহরণ হয়ে উঠেছে, যেখানে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায় একসাথে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস এবং ধর্মীয় কার্যক্রম পালন করছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post