কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেউড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা হোসেন আলী (৪৪) চিলাহাটি ভ্রমণের সময় ভুলবশত ভারতের কোচবিহার জেলার সীমান্তবর্তী ভাওলাগঞ্জ গ্রামে প্রবেশ করেন।
কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে হাঁটতে হাঁটতে এক পর্যায়ে তিনি স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে গিয়ে চা পান করেন। চায়ের মূল্য হিসেবে বাংলাদেশি টাকা দেওয়ার পর দোকানদার বিষয়টি সন্দেহজনক মনে করে তাকে আটক করেন এবং পুলিশে খবর দেন।
পরে হলদিবাড়ি থানা পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে, হোসেন আলী বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি ৬০০ টাকা ও ২৩ নম্বর রকেট এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি টিকিট উদ্ধার করা হয়। তাকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হোসেন আলী পেশায় নাপিত এবং দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছেন। তার পরিবার জানিয়েছে, তিনি মাঝেমধ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে এক-দুই মাস বাইরে কাটান এবং পরে নিজে থেকেই ফিরে আসেন। তবে এবার ভুলক্রমে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করায় তিনি বাড়ি ফিরতে পারছেন না।
হোসেন আলীর স্ত্রী শেফালী খাতুন বলেন, “আমার স্বামী মানসিকভাবে অসুস্থ এবং নিয়মিত চিকিৎসাধীন। সংসারের অভাব-অনটনের মধ্যেও তাকে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হচ্ছে। ভারতে কীভাবে গেল, বুঝতে পারছি না। আমি সরকারের কাছে তার দ্রুত মুক্তি ও দেশে ফেরানোর আবেদন জানাই।”
স্থানীয় চেয়ারম্যান এনামুল হক মনজু বলেন, “হোসেন আলী একজন হতদরিদ্র মানসিক রোগী। তিনি ভুলবশত সীমান্ত পেরিয়েছেন। সরকারের মাধ্যমে তার দ্রুত মুক্তি ও দেশে ফেরার ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানাই।”
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হোসেন আলী কারো ক্ষতি করেননি এবং তার মানসিক অসুস্থতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত মুক্তি দেওয়া উচিত। হোসেন আলীর মুক্তি এবং তাকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে সরকার কী পদক্ষেপ নেয়, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post