মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) দেশগুলোর ওপর বড় ধরনের শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ঐতিহ্যগতভাবে মার্কিন মিত্র হিসেবে পরিচিত ইউরোপের ২৭টি দেশের এই জোটকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিপুল পরিমাণ তেল ও গ্যাস কিনতে হবে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আমি স্পষ্ট জানিয়েছি, আমাদের তেল ও গ্যাস বড় পরিসরে কিনে তাদের ঘাটতি পূরণ করতে হবে। অন্যথায়, তাদের ওপর সম্পূর্ণ শুল্ক আরোপ করা হবে।”
ট্রাম্পের এই হুমকি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে ইউরোপ রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়িয়েছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের সবচেয়ে বড় তেল ও গ্যাস সরবরাহকারী। মার্কিন পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটির মোট তেল রপ্তানির ৫০ শতাংশেরও বেশি এবং ২০২২ সালে এলএনজি রপ্তানির ৬৬ শতাংশ ইউরোপে যায়।
এদিকে ইউরোপীয় কমিশন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তুতি নিয়েছে। তারা নিজেদের জ্বালানি উৎস বৈচিত্র্যময় করার এবং রাশিয়ার জ্বালানি আমদানি ধীরে ধীরে বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে, ইউরোপের বেশিরভাগ জ্বালানি কোম্পানি ব্যক্তি মালিকানাধীন হওয়ায় এই বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ সীমিত।
এর আগে গত ১৬ ডিসেম্বর ফ্লোরিডার মার-আ-লাগোতে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের হুমকিও দিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা নির্দিষ্ট কিছু মার্কিন পণ্যের ওপর ভারতের শুল্ক আরোপের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ট্রাম্পের এসব মন্তব্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে উত্তেজনা বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post