আধুনিক প্রযুক্তির অনেকটাই এখন ‘সাদা সোনা’, অর্থাৎ লিথিয়াম-নির্ভর। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ লিথিয়ামকে ভবিষ্যতের কাঁচামাল হিসেবে গণ্য করে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। বৈদ্যুতিক ও হাইব্রিড গাড়ির জন্য বিশ্বে লিথিয়ামের ব্যবহার বাড়ছে। বৈদ্যুতিক গাড়ি ছাড়াও ল্যাপটপ ও স্মার্টফোনের ব্যাটারির ক্ষেত্রে লিথিয়াম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
এবার মরুর দেশ সৌদি আরব তেলের খনি থেকে সফলভাবে লিথিয়াম উত্তোলন করেছে। সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় জ্বালানি প্রতিষ্ঠান ‘আরামকো’র তেলক্ষেত্র ব্রাইন থেকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে লিথিয়াম উত্তোলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সৌদির জ্বালানি বিষয়ক উপমন্ত্রী খালিদ আল-মুদাইফার এমন তথ্য জানিয়েছেন বলে রয়টার্সের খবরে বলা হয়।
খালিদ আল-মুদাইফারের বরাতে রয়টার্স জানায়, কিং আবদুল্লাহ ইউনিভার্সিটি ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের নতুন উদ্ভাবিত প্রযুক্তির মাধ্যমে লিথিয়াম আহরণ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পে আরামকো ও ম্যাডনও কোম্পানি তাদের সহযোগিতা করছে।
গত কয়েক দশক ধরে সৌদি আরবের অর্থনীতি তেলের ওপর নির্ভর করে চলছে। তবে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বিকল্প সম্পদ খুঁজে বের করার উদ্যোগ নেন। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেশটিকে বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির কেন্দ্র হিসেবে পরিণত করতে চান তিনি। এ জন্য শত শত কোটি ডলারও ব্যয় করছেন মোহাম্মদ বিন সালমান।
সৌদি আরামকো ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি বা অ্যাডনক এতদিন লিথিয়াম নিষ্কাশনসংক্রান্ত কর্মকাণ্ড পরিচালনার খুব প্রাথমিক পর্যায়ে ছিল। তবে বর্তমানে লিথিয়ামকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ মনে করা হয়। তাই এই খনিজটি উৎপাদনে আরও মনযোগ বাড়াচ্ছে দেশ দুটি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post