গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে ওমান। দীর্ঘসময় পর্যন্ত বাংলাদেশিদের জন্য সবরকমের ভিস্যা ইস্যু বন্ধ হয়ে যায়। সরকারি পর্যায়ে দেনদরবারে পরে অবশ্য দেশটি উচ্চ আয়ের পর্যটক, পেশাজীবীসহ কয়েকটি খাতে ভিসা নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে।
তবে কর্মী নিতে এখনও রাজি নয় তারা। এর মাঝেই বন্ধ হয় বহুল আলোচিত মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। বাহরাইন, মালদ্বীপ, আমিরাতেও কর্মী যাওয়া প্রায় বন্ধ। সবমিলিয়ে এ বছর বিদেশে কর্মী পাঠানো কমেছে ২৪ শতাংশ।
তথ্য বলছে, গত বছর চাকরি নিয়ে ১৩ লাখ ৭ হাজার ৮৯০ জন বিদেশ গিয়েছিলেন। আর গত ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সংখ্যা ৯ লাখ ৫২ হাজার ৬৫৮।
তাদের মধ্যে সৌদি আরব গেছেন ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৪২৩ জন, যা মোট জনশক্তি রপ্তানির ৬০ শতাংশ। চলতি বছর নতুন শ্রমবাজার খোলেনি বাংলাদেশিদের জন্য। উল্টো যুক্তরাজ্য, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো উন্নত দেশেও কর্মসংস্থান সংকুচিত হয়েছে।
সৌদি আরবে কর্মসংস্থানের কারণে জনশক্তি রপ্তানি বড় দেখালেও দেশটিতে যাওয়া কর্মীর বড় অংশ কাজ পাচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
আইনে নিষিদ্ধ হলেও কর্মীপ্রতি দুই থেকে আড়াই লাখ টাকায় ‘ভিসা কেনা’ হচ্ছে। নিয়োগকারীরা এ বাণিজ্যের জন্যই চাকরির নিশ্চিয়তা ছাড়া কর্মী নিয়ে টাকা কামাচ্ছেন।
এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দক্ষ কর্মী তৈরি ছাড়া কর্মসংস্থান বাড়বে না। ফলে পুরনো বাজার চালুর পাশাপাশি নতুন শ্রমবাজার তৈরিতে সরকারকে আরও বেশি উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post