বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে হতাহতের ঘটনায় মাওলানা জুবায়েরের অনুসারী ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, আমাদের দাবি ছিল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আজকের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে। আমাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আশ্বস্ত করেছেন আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে তারা কালবিলম্ব করবেন না এবং কোনো অপরাধী ছাড় পাবেন না। আমরা তাদের এ আশ্বাসের ওপর আস্থা রাখতে চাই।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে হতাহত হওয়ার পর মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের নিয়ে প্রথমে বেলা ১১টায় বৈঠকে বসেন অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচজন উপদেষ্টা। এতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। পরে মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীদের সঙ্গে বসেন উপদেষ্টাদেরা।
বৈঠক শেষে মামুনুল হক বলেন, এটি সংঘর্ষ ছিল না, এটি ছিল এক পক্ষের হামলা। সাদপন্থির লোকেরা এখানে হামলা চালিয়ে আমাদের নিরীহ লোকদের হতাহত করেছে, খুন করেছে এবং অসংখ্য মানুষকে তারা যখম করেছে। এই বিষয়টি একেবারে স্পষ্ট এটি কোনো সংঘর্ষ ছিল না। এটি ছিল একপক্ষীয় হামলা।
তিনি বলেন, আমরা এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে জোরদারভাবে জানিয়েছি— এই হামলার আগে থেকে কারা কারা জড়িত সেই প্রমাণ ইতোমধ্যে জনসমক্ষে চলে এসেছে। কারা সেখানে গেট ভেঙে, বাউন্ডারি ভেঙে, সীমানা প্রাচীর ভেঙে ঢুকতেছে সেগুলোর ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টিতেও সেগুলো রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সেক্ষেত্রে আমাদের সর্বপ্রথম দাবি ছিল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আজকের মধ্যেই গ্রেপ্তার আমরা যেন দেখতে পাই। আমাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যসহ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আশ্বস্ত করেছেন আইনানুগ ব্যবস্থা করতে তারা কাল বিলম্ব করবেন না এবং কোনো অপরাধী ছাড় পাবেন না। আমরা তাদের এ আশ্বাসের ওপর আস্থা রাখতে চাই৷
সাদপন্থিরা বাংলাদেশবিরোধী শক্তির দোসর হিসেবে ভূমিকা পালন করছে বলেও এসময় মন্তব্য করেন মাওলানা মামুনুল হক।
তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশবিরোধী শক্তির দোসর হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। এই অপশক্তিকে প্রতিহত করা শুধু আলেম-ওলামাদের কাজ নয়, এটি রাষ্ট্র ও প্রশাসনেরও কাজ। আমরা সাদপন্থিদের একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে তাদের নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছি।
এরপরও সরকার সাদপন্থিদের ইজতেমা করার অনুমতি দিলে তাদের অবস্থান কী হবে— জানতে চাইলে তিনি বলেন, আশা করছি সরকার সেই ভুল করবে না।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post