মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ের পর থেকেই বিটকয়েনের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিটকয়েনের মূল্য ১ লাখ ৬ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে, যা সবার মনে প্রশ্ন তুলেছে—এই উত্থান কোথায় গিয়ে থামবে?
গত ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ৬০তম জাতীয় নির্বাচনের পর বিটকয়েনের দাম ৫০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। রোববার বিটকয়েন একটি নতুন রেকর্ড গড়লেও সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে এশীয় বাজারে এর দাম ১ লাখ ৪ হাজার ৫০০ ডলারে নামিয়ে আসে।
বিটকয়েনের মূল্য নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলা কঠিন হলেও, ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি এক ঘোষণা দিয়েছেন, যেখানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত তেল রিজার্ভের আদলে একটি ডিজিটাল মুদ্রা রিজার্ভ গড়ে তোলার পরিকল্পনা জানিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে, বিটকয়েনের দাম ১,৬০,০০০ ডলারে পৌঁছানোর সম্ভাবনা আরও প্রবল হয়েছে।
এছাড়া, ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ওয়াল স্ট্রিটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসির সাবেক কমিশনার পল অ্যাটকিন্সকে নাম ঘোষণা করার পর, ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রতি আগ্রহ আরো বৃদ্ধি পায়। অ্যাটকিন্স একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি-বান্ধব ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত।
সম্প্রতি ট্রাম্প সিলিকন ভ্যালির উদ্যোক্তা ডেভিড স্যাক্সকে ক্রিপ্টোকারেন্সি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। স্যাক্স শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
এক সময়, ২০২১ সালে, ট্রাম্প বিটকয়েনকে একটি ‘জালিয়াতি’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন, কিন্তু এবারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রিপ্টোকারেন্সির বিশ্ব রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলার কথা বলেছেন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের এসইসি প্রধান গ্যারি জেন্সলার জানিয়ে দিয়েছেন, ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প শপথ নেবেন এবং সেদিন তিনি পদত্যাগ করবেন। ট্রাম্পের দাবি, জেন্সলার ক্রিপ্টো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছিলেন, যা তার পছন্দ হয়নি।
বিশ্বব্যাপী ক্রিপ্টোকারেন্সির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের একটি জরিপে দেখা গেছে, বর্তমানে শিক্ষক, ব্যাংকার, নার্স এবং আইটি পেশাদাররা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করছেন, যা একসময় শুধুমাত্র প্রযুক্তি জগতের মানুষের জন্য সীমাবদ্ধ ছিল।
বিটকয়েনের এই বিপুল উত্থানের মধ্যে একটি গভীর রহস্য রয়েই গেছে—তার প্রতিষ্ঠাতা সাতোশি নাকামোটোর প্রকৃত পরিচয় এখনও অজানা। যদিও অনেকেই তার সনাক্তকরণের চেষ্টা করেছেন, কিন্তু এখনো কেউ সফল হতে পারেননি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post