ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রোববার, ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া’স ওয়ার্ল্ড’ নামক আন্তর্জাতিক নীতি-বিষয়ক একটি সাময়িকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। সংবাদসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস ও এএনএম নিউজ।
জয়শঙ্কর বলেন, “স্পষ্টভাবে বলতে গেলে, আমাদের অনেক পুরোনো সমস্যার সমাধান এখনও ঝুলে আছে। আমাদের সীমানা এখনো একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। তবে, আমরা ইতোমধ্যে একটি নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিদেশি নীতিতে এগিয়ে গেছি।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “বিশ্ব এখন আর এককেন্দ্রিক বা দ্বিমেরু অবস্থায় নেই। পরিবর্তিত পরিস্থিতির মধ্যে ভারতকে পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে।”
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো থেকে ভারতের শেখার মতো মূল্যবান শিক্ষা রয়েছে, যা পররাষ্ট্রনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি আরও বলেন, “গত দুই দশকে বিশ্বায়ন অনেক গতি পেয়েছে। দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে, এবং প্রযুক্তি মানুষের দৈনন্দিন জীবনেও বিপুল পরিবর্তন এনেছে।”
জয়শঙ্কর বলেন, “পূর্ববর্তী দশকগুলোতে প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিদেশ সফরকালে প্রযুক্তি, মূলধন, উৎকৃষ্ট অনুশীলন এবং বিনিয়োগ সম্পর্কিত আলোচনা গুরুত্ব পেয়েছে। ভারত সরকার প্রযুক্তিগত সহযোগিতা এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের জাতীয় উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যা অপরিহার্য।”
তিনি আরো বলেন, “যখন আমরা পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তনের কথা বলি, তখন নেহরু-পরবর্তী পররাষ্ট্রনীতির পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা করি, কিন্তু এটিকে রাজনৈতিক আক্রমণ হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়।”
শেষে তিনি বলেন, “ভারত বিশ্বমঞ্চে ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী একটি দেশ হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। আগামী বছরগুলিতে বিদেশে ভারতীয় প্রবাসী শ্রমিকের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি বড় পরিবর্তন আসবে। তাই ভবিষ্যতের পররাষ্ট্রনীতি হতে হবে বড় দৃষ্টিতে, দীর্ঘমেয়াদী এবং স্মার্টভাবনাপূর্ণ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post