বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল ভারতকে সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন, “ভারত খুনিকে আশ্রয় দিয়েছে। শেখ হাসিনার প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন না। বাংলাদেশকে দুর্বল ভাবার কোনো সুযোগ নেই।
আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলালে, দিল্লি পর্যন্ত পরিস্থিতি গড়াবে। বাংলাদেশের জনগণ যদি একবার ক্ষিপ্ত হয়, কোনো অপশক্তি তাদের রুখতে পারবে না। বন্ধুত্ব করতে হলে শেখ হাসিনার সঙ্গে নয়, এ দেশের জনগণের সঙ্গে করুন।”
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
হাবিব উন নবী খান সোহেল আরও অভিযোগ করেন, “বাংলাদেশে স্বৈরাচারী শাসন কায়েম করতে শেখ হাসিনা জনগণের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়ে জালিয়াতি ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে আছেন। তার একাধিক জুলুম ও দুর্নীতির জন্য জেল হওয়া উচিত।”
তিনি বলেন, “গত ১৬ বছর ধরে বিএনপির নেতাকর্মীরা নির্যাতনের শিকার। মামলা-হামলা, গুম-খুন—সবকিছুই করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি মনে করেন দেশ তার বাপ-দাদার সম্পত্তি। তবে এবার জনগণ জেগে উঠেছে। ভারত বা অন্য কোনো দেশের সমর্থন পেলেও তাকে আর রক্ষা করা যাবে না।”
সোহেল বলেন, “শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পথে। বেগম খালেদা জিয়াকে বাড়ি ছাড়া করে এখন নিজেই দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। জনগণ তার অত্যাচার ও শহীদদের রক্তের হিসাব নেবে।”
দীর্ঘ ২৭ বছর পর কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল সভাপতি এবং হাজী ইসরাইল মিয়া সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, ও যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।
এই সম্মেলন বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি পুনর্গঠনে নতুন দিক উন্মোচন করবে বলে মনে করছেন দলের নেতাকর্মীরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post