ছোটবেলা থেকেই প্রবল ইচ্ছা বউ নিয়ে গ্রামে আসবেন হেলিকপ্টারে উড়ে। সেই ইচ্ছার বাস্তব প্রতিফলন ঘটালেন সিলেটের নাজিমউদ্দিন চৌধুরী। রংপুরের বদরগঞ্জ থেকে হেলিকপ্টারে করে বউ নিয়ে গেলেন বর নাজিমউদ্দিন চৌধুরী।
পেশায় তিনি সিলেট জেলা জজ কোর্টের শিক্ষানবিস আইনজীবী। সিলেট মৌলভীবাজার কুলাউড়া উপজেলা থেকে বিয়ে করতে আসেন বর। পরে হেলিকপ্টারে করে কনেকে নিয়ে যান।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বদরগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছোট হাজিপুর বড় বানিয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে হেলিকপ্টারে চড়ে বরের বাড়িতে নিয়ে যান কনেকে।
কনে বিষ্ণুপুর ছোট হাজিপুর বড় বানিয়াপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী লাভলু রহমানের মেয়ে সালেহা আক্তার লাবনী। তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেবিকা (নার্স)।
জানা গেছে, বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছোট হাজিপুর বড় বানিয়াপাড়া গ্রামের লাভলু রহমানের মেয়ে সালেহা আক্তার লাবনীর সঙ্গে সিলেট মৌলভীবাজার কুলাউড়া উপজেলার বক্সী মাইল ইউনিয়নের জাবদা গ্রামের রেনু চৌধুরীর ছেলে নাজিমউদ্দিন চৌধুরীর পারিবারিকভাবে বৃহস্পতিবার বিয়ে সম্পন্ন হয়। শুক্রবার দুপুরে হেলিকপ্টারে করে রংপুর থেকে নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে উড়াল দেন বর।
এদিকে গ্রামে হেলিকপ্টারে বর-কনের এমন আয়োজন দেখতে এলাকার শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সী হাজারো উৎসুক মানুষ ভিড় করেন স্কুল মাঠের পাশে। কনেকে নিয়ে হেলিকপ্টারে করে বরের ফিরে যাবার এ দৃশ্যে আনন্দিত সবাই।
বিবাহ রেজিস্ট্রার কাজী আব্দুল মাবুদ জানান, হেলিকপ্টারটি অবতরণ করার পর কনের বাবা ও তার আত্মীয়-স্বজন বরকে উৎসবমুখর পরিবেশে বরণ করে নেন। এরপর ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ের রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করেন।
কনের চাচা আতিয়ার রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার সালেহা আক্তার লাবনী ও নাজিমউদ্দিন চৌধুরীর বিয়ে সম্পন্ন হবার পরদিন শুক্রবার হেলিকপ্টারে করে ছেলে আমাদের মেয়েকে নিয়ে যায়। তিনি সবার কাছে নব-দম্পতির জন্য দোয়া কামনা করেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post