মালদ্বীপ প্রবাসীদের মৃত্যু মিছিল যেন দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে আর এর বেশির ভাগই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। এক দিনের ব্যবধানে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দুই বাংলাদেশী মো: খসরু আহমেদ (৫৩) ও মো: ইয়াছিন মিয়া (২২) মারা গেছেন। বুধবার দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ মিশনের কল্যাণ সহকারী মো: জসিম উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
বাংলাদেশ মিশনের এই কর্মকর্তা বলেন, মৃত দুই প্রবাসী রাজধানী মালের পার্শ্ববর্তী আইল্যান্ডে কাজ করতেন। খসরু আহমেদ বৈধভাবে কাজ করলেও ইয়াছিন মিয়া অবৈধভাবে কর্মরত ছিলেন। যিনি বৈধ ছিলেন তার সম্পূর্ণ খরচ মালিক বহন করলেও অবৈধভাবে কর্মরত মৃত প্রবাসী ইয়াছিন মিয়ার লাশ পাঠানো হয়েছে এখানকার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ও দূতাবাসের সহযোগিতায়। আজ শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বেলা ১১টায় বাংলাদেশে পৌঁছলে মরহুমের লাশ তাদের স্বজনরা গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি।
মরহুম ইয়াছিনের নিকটাত্মীয় মজিবুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, পরিবারের হাল ধরতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মালদ্বীপে পাড়ি জমিয়েছেন ইয়াছিন। তার বেতন দিয়েই চলত তাদের সংসার। ইয়াছিনের মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ইয়াছিনের দেশের বাড়ি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় গোপাল নগরে।
নিহত আরেক প্রবাসী খসরু আহমেদের বড় ছেলে মো: আবু তাহের মুঠোফোনে নয়া দিগন্তকে বলেন, তার বাবা সংসারের অভাব ঘোচাতে ১০ বছর আগে মালদ্বীপে পাড়ি জমিয়েছেন। আসছে রমজানে দেশে ফিরবেন এই জন্য নিজ কোম্পানি থেকে ছুটিও নিয়েছেন তিনি। কিন্তু এখন বাবা ফিরবে লাশ হয়ে। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশাহারা এখন তাদের পরিবার বলেও জানান তিনি। খসরু আহমেদের দেশের বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার বারহাল ইউনিয়নে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post