“এক মুহূর্তের আবেগ… এক ক্লিকের ভুল… আর তাতেই ধ্বংস হয়ে গেল এক ওমান প্রবাসীর স্বপ্ন…” দুইদিন আগে ওমানের দুকুমে ঘটে যাওয়া স্বরণকালের ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান ৮ বাংলাদেশি প্রবাসী। আর এই ভিডিও এক প্রবাসী তার মোবাইলে ধারন করে ছরিয়ে দেন ফেসবুকে। এতে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
মরুভূমির নীরবতা ভেঙে যায় ভয়াবহ এই চিত্র দেখে। শোঁকের ছায়া নেমে পরে ওমানের বাংলাদেশ কমিউনিটিতে। তবে, এই ভিডিও কাল হয়ে যায় ওই প্রবাসীর জীবনে। দ্রুত তম সময়ে গ্রেফতার করে রয়্যাল ওমান পুলিশ। কারন, দেশটির এইনে এধরনের ভিডিও গুরুতর অপরাধ।
ওমানের আইনে মৃত ব্যক্তির মর্যাদা রক্ষা করা শুধু মানবিক দায়িত্ব নয়, এটি আইনি বাধ্যবাধকতাও। আর তাই, কোনো ধরণের দুর্ঘটনা ঘটলে তা ভিডিও করা একেবারেই নিষিদ্ধ। যে প্রবাসী ভিডিওটি শেয়ার করেছিল, সেটি হয়তো কয়েকজনের কৌতূহল মিটিয়েছিল…কিন্তু সেই এক ক্লিকই তার প্রবাসজীবনের ভবিষ্যৎ শেষ করে দিল।
আরও
তার বিরুদ্ধে এখন আদালতে মামলা চলছে। দোষী প্রমাণিত হলে হতে পারে কারাদণ্ড, জরিমানা, এমনকি ওমান থেকে আজীবনের জন্য ভিসা বাতিল করে দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার মত শাস্তি।
রয়্যাল ওমান পুলিশ সবাইকে সতর্ক করে বলেছে—“দুর্ঘটনা বা সংবেদনশীল মুহূর্তে ভিডিও না করে পুলিশকে খবর দিন।”
একজন প্রবাসী… যে একসময় পরিবারকে টাকা পাঠিয়ে স্বপ্ন বুনতো, আজ সে হয়তো কারাগারের ঘরে একা বসে ভাবছে—“একটা ভিডিও না তুললেই হয়তো আজ আমি মুক্ত থাকতাম…” ওমানে থাকা সকল প্রবাসীদের প্রতি অনুরোধ—আপনার মোবাইলের ক্যামেরা যেন আপনার জীবনের শত্রু না হয়ে ওঠে। আইন মেনে চলুন, মানবিকতা বজায় রাখুন, নিজের ও দেশের সম্মান রক্ষা করুন। সেইসাথে যারা উক্ত দুর্ঘটনার ভিডিও ফেসবুক, টিকটকে শেয়ার দিএয়ছেন, তারা দ্রুত ডিলিট করে দিন।










