চলমান মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনার মাঝেই রাশিয়া-ইরান সামরিক সম্পর্ক আরও জোরালো হয়েছে—এমনই ইঙ্গিত দেয় ফাঁস হওয়া এক গোপন নথি। ওই নথি রাশিয়া ইরানের কাছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন যুদ্ধবিমানসহ অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট ইকুইপমেন্ট সরবরাহ করছে, যা অঞ্চলটির সামরিক ভারসাম্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনার যোগ্য।
সূত্র জানায়, গত জুনে ইরানের বিরুদ্ধে আকাশে ব্যাপক হামলার জবাবে আইআরজিসি ড্রোন, জ্যামিং ও রাডার প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইসরায়েলের ড্রোন ধ্বংস করায়। কিন্তু অভিজ্ঞতা দেখিয়েছে—আধুনিক ফাইটার জেট ও সমৃদ্ধ রাডার নেটওয়ার্ক ছাড়া আকাশে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা চালানো কঠিন। এ কারণেই ইরানের দিকে নজর মেলে রুশ প্রযুক্তি ও বিমানে।
ফাঁস হওয়া রপ্তানি নথি অনুযায়ী, রোস্টেকের এক উপাদান সংস্থার মাধ্যমে মস্কো ও তেহরানের মধ্যে প্রায় ৬ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের চুক্তি হয়েছে, যা অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে সু-৩৫ ধাঁচের বহু-প্রয়োজনীয় ফাইটার জেট। নথি বলছে, ২০২৬-২০২৮ সময়সীমার মধ্যে এসব বিমানের সরবরাহ শুরু হতে পারে এবং রাশিয়ার তত্ত্বাবধানে ইরানে সংগ্রহ বা সংযোজনের কাজও করা হবে—যা ইরানকে ভবিষ্যতে নিজস্ব সমাবেশ বা মহড়ার সক্ষমতা দেয়।
আরও
বিশ্লেষকরা মনে করেন, ইরান যদি দ্রুত এ বিমানের স্কোয়াড গঠন করতে সক্ষম হয়, তাহলে সেটা শুধুমাত্র ইসরায়েলের উপর চাপ বাড়াবে না; পুরো অঞ্চলে ক্ষমতার সমীকরণই পাল্টে যেতে পারে। তাছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধের পটভূমিতে রাশিয়া ও ইরানের ঘনিস্ট সম্পর্কও এই চুক্তিকে প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে।
অবশ্য বিষয়টি সম্পর্কে মস্কো বা তেহরান এখনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য না করায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, সরবরাহের বিস্তারিত ও geo‑political প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। বিশ্বস্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে এই আলোচ্য নথি ফাঁস হওয়ায়ই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সতর্কতা ও তিক্ত রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।









