আব্রাহাম চুক্তির আওতায় খুব শিগগিরই আরও কয়েকটি দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। ২৫ জুন সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘আমরা বড় কিছু ঘোষণার অপেক্ষায় আছি।’
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে আব্রাহাম চুক্তির সূচনা হয়। সেই সময় সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো ও সুদান ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের (২০২৪ সালের নির্বাচনের পরে) প্রশাসনও এই চুক্তির আওতা বাড়ানোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
স্টিভ উইটকফ জানান, ‘আমরা এমন কিছু দেশের সঙ্গে কাজ করছি, যাদের সম্পর্কে কেউ কল্পনাও করেনি যে তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে। কিন্তু আমরা সে দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও স্টেট ডিপার্টমেন্টের সহায়তায় এই প্রচেষ্টার পরবর্তী ধাপের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন
সাক্ষাৎকারে উইটকফ আরও বলেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও অস্ত্রায়নের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি ‘রেড লাইন’। তবে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন, একটি সামগ্রিক শান্তি চুক্তির মাধ্যমে তেহরানের সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমিত করা সম্ভব। তার মতে, “আমরা চাচ্ছি মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা আসুক এবং এই অঞ্চলে শান্তির বার্তা আরও ছড়িয়ে পড়ুক।”
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, আব্রাহাম চুক্তির সম্প্রসারণ কেবল যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সাফল্য নয়, বরং ইসরায়েলের আঞ্চলিক স্বীকৃতি বাড়ানো এবং ইরানবিরোধী জোট গঠনের কৌশলের অংশ। যদিও এখনো সম্ভাব্য নতুন দেশগুলোর নাম প্রকাশ করা হয়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে, যদি সৌদি আরব কিংবা ইন্দোনেশিয়ার মতো প্রভাবশালী মুসলিম রাষ্ট্র এতে যুক্ত হয়, তবে তা মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে।