ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশের সশস্ত্র বাহিনী ‘ইহুদি শত্রু ও তার জঘন্য সমর্থকদের’ বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। যুদ্ধবিরতির প্রেক্ষাপটে দেওয়া এই বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানের সাম্প্রতিক হামলা ছিল ‘শত্রুর নিষ্ঠুরতার জবাবে সময়োপযোগী এবং আনুপাতিক’।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি এবং ইসরায়েলে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে ইরান তার প্রতিক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। তেহরান দাবি করেছে, তারা শত্রুকে পরাজয় স্বীকার করতে এবং একতরফা আগ্রাসন থেকে সরে আসতে বাধ্য করেছে।
পরিষদের ভাষ্য, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সশস্ত্র বাহিনী এখনও ‘ট্রিগারে আঙুল রেখে’ সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে এবং যেকোনো উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের জবাবে নির্ণায়ক প্রতিরোধে প্রস্তুত। অন্যদিকে, ইরানকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য দায়ী করে ফের কঠোর জবাবের হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন, তেহরানের অভ্যন্তরে শাসকগোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালাতে। খবর বিবিসি’র।
আরও পড়ুন
তবে এখন পর্যন্ত ইরান আনুষ্ঠানিকভাবে হামলার দায় স্বীকার করেনি। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি এক বিবৃতিতে জানান, “ইসরায়েল হামলা বন্ধ করলে আমরাও প্রতিক্রিয়া জানানো বন্ধ করব।”
ইরান থেকে হামলার খবর প্রকাশের পর এক চরমপন্থী বার্তা দিয়েছেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া হিব্রু ভাষার বার্তায় তিনি লেখেন, “তেহরান কাঁপবে।”