ইরানে একযোগে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, তবে এসব হামলা প্রতিহত করেছে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলের ছোড়া অন্তত ১৪টি ড্রোন সফলভাবে আটকানো হয়েছে।
ইরানি লেবার নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, পুলিশের মুখপাত্র সাঈদ মন্তাজেরোলমাহদি জানিয়েছেন—দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে শত্রুপক্ষের ড্রোন কারখানা এবং ড্রোন পরিবহনকারী যান শনাক্ত করেছে পুলিশ। হামলার আশঙ্কায় নিরাপত্তা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে।
এর আগে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, তারা রাতভর ইরানে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে। এই অভিযানে অংশ নিয়েছে ৫০টির বেশি যুদ্ধবিমান। তারা তেহরানে অবস্থিত একটি সেন্ট্রিফিউজ উৎপাদন কেন্দ্র এবং কয়েকটি অস্ত্র তৈরির কারখানায় আঘাত হানে।
আরও পড়ুন
আইডিএফ দাবি করেছে, তেহরানের সেন্ট্রিফিউজ কেন্দ্রটি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের গতি বাড়াতে ব্যবহৃত হচ্ছিল। এই কেন্দ্রটি ধ্বংস করার মাধ্যমে ইরানের পরমাণু সক্ষমতা হ্রাস করার চেষ্টা চালিয়েছে তারা।
হামলার লক্ষ্যবস্তু হওয়া অস্ত্র কারখানাগুলোর মধ্যে একটি এমন স্থাপনাও ছিল যেখানে সারফেস-টু-সারফেস এবং সারফেস-টু-এয়ার মিসাইলের কাঁচামাল উৎপাদিত হতো। ইসরায়েলের অভিযোগ, এসব অস্ত্র সরাসরি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছিল।
সাম্প্রতিক এসব অভিযানের মধ্য দিয়ে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা আরও তীব্রতর হয়েছে। পরিস্থিতি যে কোনো মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে বড় ধরনের সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।