মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান পাল্টাপাল্টি হামলায় পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। দুপক্ষের হামলায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা, বিবিসি ও দ্য টাইমস অব ইসরায়েল এসব ঘটনার লাইভ কাভারেজ প্রচার করছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে কমপক্ষে সাতজন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছে বলে চিকিৎসাসংক্রান্ত সূত্র ও গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছে। এর আগে ইসরায়েল একাধিকবার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
এদিকে আন্তর্জাতিক মহলেও এই উত্তেজনার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ঘোষণা দিয়েছেন, আঞ্চলিক সহায়তার অংশ হিসেবে ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান ও সামরিক সরঞ্জাম মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানো শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওয়াশিংটনে এক সামরিক কুচকাওয়াজে কঠোর বার্তা দিয়েছেন, যা ইরানবিরোধী হুমকি হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
এ সময় মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে এপি নিউজ জানিয়েছে, ইরাকের আইন আল-আসাদ ঘাঁটিতে মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে ছোড়া তিনটি ড্রোন প্রতিহত করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
পাল্টা হুমকি দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, ইসরায়েল হামলা বন্ধ না করলে আরও কঠোর প্রতিক্রিয়া আসবে। পাশাপাশি পাকিস্তান সরাসরি ইরানকে সমর্থন জানিয়ে জানিয়েছে, মুসলিম দেশগুলোর এখন ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ সংসদে বলেন, ইসরায়েল শুধু ইরান নয়, ফিলিস্তিন ও ইয়েমেনকেও আক্রমণ করছে—এবং এটি পুরো মুসলিম বিশ্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।
সবশেষ খবর অনুযায়ী, মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে ইরান ইসরায়েলের ১০টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে। এছাড়া ইসরায়েলের চালানো বিমান হামলায় তেহরানে একটি আবাসিক ভবনে কমপক্ষে ৬০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২০ জন শিশু রয়েছে। এই হতাহতের ঘটনা ইসরায়েলের তৃতীয় দফা আক্রমণের পর ঘটেছে বলে জানিয়েছে তেহরান।