মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েলের চলমান উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে রাতভর হামলা চালিয়েছে ইরান। শনিবার (১৫ জুন) গভীর রাতে হাইফা, তেল আবিবসহ একাধিক এলাকায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হয়। এসব হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম, যার মধ্যে রয়েছে আলজাজিরাও।
খবরে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনীর তেহরানের শাহরান তেল স্থাপনা ও অন্যান্য বেসামরিক অবকাঠামোয় বোমা হামলার জবাবে ইরান এই পাল্টা হামলা চালায়। ইসরায়েল দাবি করছে, তাদের টার্গেট ছিল ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট এলাকা। তবে ইরান বলছে, তারা দখলদারদের জবাবেই এই হামলা চালাতে বাধ্য হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে ইরান শতাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে তেল আবিবের দিকে। এতে চারজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। একই দিন ভোরে ইসরায়েল তেহরানে বিমান হামলা চালায়, যার লক্ষ্য ছিল পারমাণবিক স্থাপনা ও ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা।
আরও পড়ুন
সেই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ইরানের কয়েকটি আবাসিক এলাকা। নিহত হন অন্তত ৮০ জন, যাদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের সামরিক বাহিনীর একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা এবং ২০ জন শিশু। এ হামলায় আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীও তাদের বাহিনীর সদস্য আহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে। শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তারা জানায়, মধ্য ইসরায়েলে ইরানের পাল্টা আক্রমণে সাতজন সেনা সদস্য আহত হন। তাদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং পরে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, এই সংঘাত যদি চলতে থাকে, তাহলে তা শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়—আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ভয়াবহ অস্থিরতা তৈরি করতে পারে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের জন্য এখনই সময় বলে মনে করছেন অনেকেই।