আজ সকালে ইয়েমেনি প্রতিরোধ বাহিনীর ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেন গুরিয়নের কাছে আঘাত হানে। এই ঘটনায় দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন। হামলার পর ইসরায়েলের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট স্থগিত করে দেয়।
টাইমস অব ইসরায়েল ও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানবন্দরের পাশে একটি বিশাল ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়। ইরানি বার্তা সংস্থা মেহের জানায়, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কতা সাইরেন বাজার কিছুক্ষণ পরই ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বেন গুরিয়নের কাছে বিস্ফোরিত হয়।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, তারা ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে। আইডিএফ মুখপাত্র জানান, এই ঘটনায় দুই সেনা নিহত হয়েছেন এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন
যদিও এখনো পর্যন্ত কোনো পক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে হামলার দায় স্বীকার করেনি, আঞ্চলিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এটি ইয়েমেনি হুথি গোষ্ঠী আনসারুল্লাহর কাজ। গাজা যুদ্ধ ঘিরে সাম্প্রতিক সময়ে হুথিরা ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রটি হাইপারসনিক হওয়ায় ইসরায়েলের আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও তা থামাতে পারেনি।
হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের গতি ও নেভিগেশন প্রযুক্তি এতটাই উন্নত যে তা বর্তমান ‘আয়রন ডোম’, ‘ডেভিডস স্লিং’ বা ‘অ্যারো’ সিস্টেম দিয়ে প্রতিহত করা প্রায় অসম্ভব। বিশ্লেষকদের মতে, যদি সত্যিই ইয়েমেন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে, তবে এটি ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর হুমকি এবং মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক ভারসাম্যে পরিবর্তন আনতে পারে।