সংযুক্ত আরব আমিরাত, মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র, সম্প্রতি তাদের ভিসা নীতিতে পরিবর্তন এনেছে। দেশটি এখন থেকে বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের জন্য ৫ বছর মেয়াদী পর্যটন ভিসা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সেই তালিকায় বাংলাদেশের নামও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। রোববার প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলি আল হুমুদির মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এই তথ্য জানানো হয়।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূতের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলি আল হুমুদি ভিসা সুবিধা এবং বিনিয়োগ সহযোগিতা সংক্রান্ত বিষয়ে লুৎফে সিদ্দিকীর সাম্প্রতিক ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বিশেষ করে আমিরাত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী পর্যায়ের সঙ্গে তার আলোচনার কথা উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রদূত জানান, বর্তমানে ঢাকায় অবস্থিত আমিরাতের দূতাবাস প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০টি ভিজিট ভিসা ইস্যু করছে। পাশাপাশি, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের জন্য একসঙ্গে বহু ভিসা প্রদানের প্রক্রিয়াও দ্রুত করা হচ্ছে, যা দুই দেশের ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে।
গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় দক্ষ কর্মীদের জন্য অনলাইনে কর্মসংস্থান ভিসা প্রদানের পোর্টাল পুনরায় চালু করেছে। এর ফলে গত কয়েক সপ্তাহে মার্কেটিং ম্যানেজার ও হোটেল স্টাফসহ বিভিন্ন পেশায় ভিসা প্রদান শুরু হয়েছে। এছাড়াও ৫০০ জন নিরাপত্তা কর্মীর ভিসা ইতোমধ্যে ইস্যু করা হয়েছে এবং আরও এক হাজার ভিসা অনুমোদনের পর্যায়ে রয়েছে, যা শীঘ্রই প্রদান করা হবে।
আরও পড়ুন
রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলি আল হুমুদি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ধাপে ধাপে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরও শিথিল করা হবে। তিনি আরও জানান, মানবিক ও বিশেষ বিবেচনায় বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সুপারিশকৃত মামলাগুলোতে নমনীয়তা বজায় রাখা হবে। রাষ্ট্রদূতের এই ইতিবাচক বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত তাকে ধন্যবাদ জানান।