ইসরায়েলের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান আগ্রাসন ও সহিংসতার খবর বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যমগুলোর কণ্ঠস্বর দমনে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে মেটা ফিলিস্তিনি ব্যবহারকারীদের পোস্টে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। এর ফলে গাজার সংবাদমাধ্যমগুলোর ফেসবুক পেজে দর্শকসংখ্যা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, প্যালেস্টাইন টিভির ৫৮ লাখ ফেসবুক অনুসারী থাকা সত্ত্বেও তাদের পোস্টের দর্শক সংখ্যা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে।
আরও পড়ুন
এ বিষয়ে মেটা জানিয়েছে, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের কণ্ঠস্বর দমন করেনি। তবে বিদ্বেষমূলক কন্টেন্টের বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপের অংশ হিসেবে কিছু ফিলিস্তিনি পোস্টের ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যমগুলো অভিযোগ করেছে, মেটার এই কঠোর নীতিমালার ফলে তাদের সংবাদ প্রচারের পথ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। একই সময়ে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলোর পেজে দর্শকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি বিবিসির বিশ্লেষণে স্পষ্ট হয়েছে।
ফিলিস্তিনি সাংবাদিকরা মনে করছেন, এই নীতিগুলি তাদের তথ্য প্রচারের স্বাধীনতাকে সীমিত করছে এবং আন্তর্জাতিক দর্শকদের কাছে গাজার বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরতে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিশ্বজুড়ে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে এই ঘটনা একটি গুরুত্বপূর্ণ নজির হয়ে দাঁড়িয়েছে। গাজায় চলমান সংকট ও এর সংবাদ প্রচারে সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।